জাতীয়

‘জলাবদ্ধতা নিরসন ও ডেঙ্গু প্রতিরোধে প্রস্তুতি আছে’

ঢাকা ও চট্টগ্রাম নগরীতে জলাবদ্ধতা নিরসন এবং ডেঙ্গু ও অন্যান্য মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে সরকারের সব ধরনের প্রস্তুতি আছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

রোববার (১৯ জুন) স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে গৃহীত কার্যক্রম পর্যালোচনা এবং ডেঙ্গু ও অন্যান্য মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধের বিষয়ে এ সভা করা হয়।

মন্ত্রী বলেন, ‘ঢাকা ও চট্টগ্রাম দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দুটি শহর। তাই, এই দুই মহানগরীর সমস্যা সমাধানে বিশেষ নজর দিয়ে কাজ করা হয়। জলাবদ্ধতা নিরসনে চট্টগ্রাম ও ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের অধীন খালগুলো খনন/পুনঃখনন করা হয়েছে। অনেক খাল দখল হয়েছিল, সেগুলো সিটি করপোরেশনের মেয়ররা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী দখলমুক্ত করে পানি চলাচলের উপযোগী করে তুলেছে। যার সুফল নগরবাসী পেতে শুরু করেছে। আগের তুলনায় এখন জলাবদ্ধতা অনেক কমেছে।’

তিনি বলেন, ‘ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন অনেকগুলো খাল দখলমুক্ত করেছে। অনেক বড় বড় ভবন, মার্কেট, বাস-ট্রাকস্ট্যান্ড উচ্ছেদ করা হয়েছে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন সাড়ে ৬ একর এবং ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন প্রায় ২৫ একর জমি উদ্ধার করেছে। অবৈধ দখল অভিযান এখনো চলছে।’

মন্ত্রী আরও বলেন, ‘ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের নতুন ওয়ার্ড ও নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতা ও অবকাঠামো উন্নয়নে ইতোমধ্যে ৪ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প পাস করা হয়েছে এবং কাজ চলছে। দক্ষিণ সিটি করপোরেশনও নতুন প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে। আশা করি, সমস্যা দ্রুত সমাধান হবে।’

ডেঙ্গু নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ‘ডেঙ্গুর বিষয়ে বছরের প্রথম থেকেই কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়। এবারও সেটি করা হয়েছে। উভয় মেয়র সকল প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন। যেসব কীটনাশক, ওষুধ, যন্ত্রপাতি এবং জনবল দরকার তা তাদের কাছে মজুদ আছে।’

সারা বিশ্বের ডেঙ্গু পরিস্থিতি তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, ‘সিঙ্গাপুরে ১১ হাজার ৬৭৪ জন, মালয়েশিয়ায় ১৩ হাজার ৬৫১ জন, ইন্দোনেশিয়ায় ২২ হাজার ৩৩১ জন, থাইল্যান্ডে ১ হাজার ৫৮৪ জন, ফিলিপাইনে ৩৬ হাজার ৯৩৮ জন, ভারতে ৮ হাজার ২৭৮ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। আমাদের দেশে ডেঙ্গু রোগী ৭৩০ জন। সার্বিক দিকে পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে, আমরা এসব দেশ থেকে অনেক ভালো অবস্থানে আছি। তবে, এর মানে এই না যে, আমরা বসে থাকব। আমাদের সব প্রস্তুতি নেওয়া আছে। মানুষকে সচেতন করতে মিডিয়াতে প্রচার চালানো হচ্ছে।’

সভায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, দক্ষিণ সিটির মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, চট্টগ্রাম সিটির মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি-বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক জুয়েনা আজিজ, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার উপস্থিত ছিলেন।