স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ‘পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে সারাদেশে ৪ হাজার ৪০৭টি গবাদি পশুর হাট বসবে। তবে সড়ক-মহাসড়কে কোনো পশুর হাট বসানো যাবে না। মাস্ক ছাড়া এসব পশুর হাটে প্রবেশও করা যাবে না।’
বুধবার (২৯ জুন) সচিবালয়ে আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে এবং শিল্পাঞ্চলে সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক সভা শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান মন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) ১০টি ও দক্ষিণের (ডিএসসিসি) ১২টিসহ সারা দেশে ৪ হাজার ৪০৭টি পশুর হাট বসবে। সংখ্যা হয়তো দুয়েকটা কম-বেশি হতে পারে। হাটগুলোতে প্রয়োজন অনুযায়ী আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী থাকবে। পশুর হাটের টাকা পুলিশের সহযোগিতায় ব্যবসায়ীরা বহন করতে পারবেন।’
এ বছর ঘরমুখো মানুষের নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ সড়কের মোড়ে ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণ করে বাইনোকুলার ও সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ ও পকেটমারসহ অন্যান্য দুষ্কৃতকারীদের যেন নিয়ন্ত্রণ করা যায়, সেই ব্যবস্থা নেওয়া বলেও জানান আসাদুজ্জামান খান।
বাস, লঞ্চ, ট্রেন ও ফেরিঘাট ছাড়াও পদ্মা সেতুর দুই পাড়ে গোয়েন্দা নজরদারি থাকবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ঈদযাত্রা যানজটমুক্ত করতে সারাদেশে হাইওয়ে পুলিশের ১০৯টি টহল দল, ৮৪টি কুইক রেসপন্স দলসহ ওয়াচ টাওয়ার, রেকার ও অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা থাকবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘‘ঈদের ছুটিতে মহানগর, জেলা ও উপজেলার হাটবাজারে চুরি- ডাকাতি, ছিনতাইসহ অন্যান্য সন্ত্রাসী কার্যকলাপ প্রতিরোধে পুলিশ, র্যাব ও গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করা হবে। কোনো পশুবাহী নৌযান বা ট্রাককে জোরপূর্বক নির্দিষ্ট স্থানে বা হাটে যেতে বাধ্য করা যাবে না।
‘সারাদেশে ৪৫ হাজার মাঠে বা ময়দানে এবং ৫০ হাজারের মতো মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। জামাতে অংশ নেওয়া মুসল্লিদের মাস্ক পরিধান করতে হবে এবং সরকারের জারি করা স্বাস্থ্য নির্দেশিকা পালন করতে হবে।’’