জাতীয়

প্রস্তুত গাবতলী পশুর হাট, আসছে গরু 

আগামী ১০ জুলাই ঈদুল আজহা। কোরবানির ঈদ উপলক্ষে রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশনে বসেছে পশুর হাট। ঢাকার অন্যতম বড় পশুর হাট গাবতলীতেও সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। গরু নিয়ে আসছেন ব্যবসায়ীরা।

রোববার (৩ জুলাই) বাজার ঘুরে দেখা যায়, এবার প্রচুর দেশীয় গরু নিয়ে এসেছেন ব্যবসায়ীরা। তবে ক্রেতা সমাগম তেমন নেই। এখনও জমে ওঠেনি কোরবানির পশুর হাট। 

ব্যবসায়ীরা বলছেন, আজ দুপুরে বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির কারণে পশু নিয়ে বিপাকে পড়তে হচ্ছে। আবহাওয়া খারাপের কারণে ক্রেতা সমাগম কম। আগামী দুই তিন দিন পর বেচা-কেনা জমে উঠবে। 

গাবতলী পশুর হাটে ঢুকতেই কথা হয় কুষ্টিয়া থেকে আসা ব্যবসায়ী হাসান আলীর সাথে। তিনি বলেন, ৩৪টি গরু এনেছি। প্রতিটি গরুই মাঝারি আকারের। দেড় থেকে তিন লাখ টাকা পর্যন্ত একেকটি গরুর দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। এখানে আসার পর ২ টি গরু বিক্রি হয়ে গেছে। 

আনিস হাওলাদার নামে এক বিক্রেতা বলেন, আমার দুইটি গরুর মধ্যে সবচেয়ে দাম বেশি ‘মানিক চাঁদের’। দাম চাওয়া হচ্ছে ১২ লাখ টাকা। ক্রেতা ৮ লাখ পর্যন্ত দাম বলেছেন। তবে আরও সময় নিচ্ছি। 

মেহেরপুর থেকে আসা ব্যবসায়ী মিজান হোসেন বলেন, আমার নিজের ঘরে পালিত একটি গরু নিয়ে এসেছি। নাম 'গরিবের আশা'। দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১৬ লাখ। তবে অনলাইনে একজন দাম বলেছে সাড়ে ১০ লাখ। আমি এতো কম দামে বিক্রি করবো না। আরও দাম বাড়বে বলে আশা করছি। 

১ লাখ ৩০ হাজার টাকা দামের একটি মাঝারি আকারের গরু কিনেছেন মিরপুরের বাসিন্দা রাইসুল ইসলাম। তিনি বলেন, আমি পোশাক ব্যবসায়ী। নিজের ব্যবসা নিয়ে ব্যস্ত থাকব বলে আগেই গরুটি কেনা।

গাবতলী স্থায়ী পশুর হাটের ইজারা কর্মকর্তা সানাউল হক জানান, আমাদের এখানে ব্যবসায়ীদের জন্য খুপড়ি ঘর, গরু রাখার স্থান তৈরি করা হয়েছে। পাশাপাশি বৃষ্টি বাগড়ায় যেন রাখাল ও পশু না ভিজে সে জন্য শেড টাঙানো হয়েছে। অনেকে নিজ উদ্যোগে প্লাস্টিকের ত্রিপল লাগিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, হাটে সতর্কতামূলক মাইকিং করা হচ্ছে। পশু বিক্রির সাথে সাথে যেন হাসিল আদায় করা হয় সে জন্য হাসিল ঘর তৈরি করা হয়েছে। মনিটরিংয়ের জন্য আলাদা ১০টি বুথ করা হয়েছে। আশা করছি সমস্যা হবে না।