জাতীয়

ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয়, ভোগান্তি চরমে 

আগামীকাল ঈদুল আজহা। এরই মধ্যে স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করতে অনেকেই চলে গেছেন গ্রামের বাড়িতে। ঢাকা এখন অনেকটাই ফাঁকা। কিন্তু ভিন্ন চিত্র কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে। শেষ সময়েও ট্রেনে বাড়ি ফেরা মানুষের ভিড় দেখা গেছে প্ল্যাটফর্মে। সকাল থেকে ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয়ের কারণে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা।

শনিবার (৯ জুলাই) দুপুরে কমলাপুর স্টেশন ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিটি প্লাটফর্মে ঘরমুখো যাত্রীদের ভিড়। নারী, পুরুষ, শিশুসহ  সব শ্রেণির মানুষ ঘণ্টার পর ঘণ্টা স্টেশনে বসে আসেন। 

নীলসাগর এক্সপ্রেসের যাত্রী আব্দুল কুদ্দুস জানান, নীলফামারী যাবো। এজন্য শনিবার ভোর ৫টায় পরিবার পরিজন নিয়ে কমলাপুর স্টেশনে আসি। সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে ট্রেন ছেড়ে যাওয়ার কথা। দুপুর ১ টা পর্যন্ত ছাড়নি। চরম ভোগান্তিতে পড়েছি।

এদিকে, একতা এক্সপ্রেস সকাল ১০টায় ছেড়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু দুপুর পর্যন্ত ছেড়ে যেতে পারেনি। 

বেসরকারি চাকরিজীবী মো. আফ্রিদি বলেন, সেই সকালে মা, ভাই, বোনকে নিয়ে স্টেশনে এসেছি। সকাল ১০টা ১০ মিনিটে ট্রেন ছাড়ার কথা। কিন্তু এখনও ছাড়েনি। গরমের মধ্যে এভাবে বসে থাকতে কষ্ট হচ্ছে। 

জানা গেছে, একতা এক্সপ্রেসের ইঞ্জিন খুলতে দেরি হওয়ায় এ বিপর্যয় ঘটেছে। শুধু এ দুটি ট্রেনই নয়, সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কমলাপুর স্টেশন থেকে যতগুলো ট্রেন ছেড়ে গেছে তার কোনটি এক, দুই কিংবা কোনোটি চার পাঁচ ঘণ্টা বেশি দেরি করে ছেড়ে গেছে। 

কমলাপুর স্টেশন ম্যানেজার মাসুদ সারোয়ার রাইজিংবিডিকে বলেন, অতিরিক্ত যাত্রী চাপ, যাত্রীদের ওঠা-নামায় সময় বেশি লাগাসহ  নানা কারণে  মূলত বিপর্যয় ঘটেছে। তারপরও আমরা চেষ্টা করছি, নির্দিষ্ট সময় ট্রেন ছাড়ার।

রেল সূত্রে জানা গেছে, কমলাপুর স্টেশন থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে প্রতিদিন ৪০ থেকে ৫০টি ট্রেন ছেড়ে যায়। এছাড়া, ঈদ স্পেশাল ট্রেনও রয়েছে। কিন্তু প্রতিটি ট্রেন কম বেশি দেরি করে স্টেশন ছাড়ছে।

এদিকে, শিডিউল বিপর্যয়ের কারণে উত্তরবঙ্গের পঞ্চগড়গামী দ্রুতযান ও পঞ্চগড় এক্সপ্রেসের যাত্রা বাতিল করার ঘোষণা দেওয়া হয়। কিন্তু কিছুক্ষণ পরই জানানো হয়, ট্রেন দুটি নির্দিষ্ট সময় ছেড়ে যাবে। দ্রুতযান এক্সপ্রেস রাত ৮টায় ও পঞ্চগড় এক্সপ্রেস রাত ১০টা ৪৫ মিনিটে স্টেশন ছাড়ার কথা রয়েছে।