জাতীয়

লঞ্চে ভিড় থাকলেও স্বস্তি নিয়ে ঢাকায় ফিরছেন যাত্রীরা

প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ শেষে ঢাকায় ফিরছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। যাত্রীরা জানান, লঞ্চে ভিড় থাকলেও স্বস্তি নিয়ে ঢাকায় ফিরছেন তারা।

বুধবার (১৩ জুলাই) রাজধানীর সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে গিয়ে দেখা যায়, ঈদের  ছুটি শেষে রাজধানীমুখী যাত্রীদের ভিড়। লঞ্চের হর্ন, রিকশা, সিএনজি চালকদের হাক ডাকে কর্মচাঞ্চলতা ফিরে পেয়েছে। ভোর থেকেই বরিশাল, ভোলা, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, চরফ্যাশন, হুলারহাট, ভান্ডারিয়া, লালমোহনসহ দেশের বিভিন্ন রুটের যাত্রী বোঝাই লঞ্চ টার্মিনালে ভিড়তে থাকে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে টার্মিনালে লঞ্চ ও যাত্রী বাড়তে থাকে। একই সময়ে একাধিক লঞ্চ চলে আসায় টার্মিনালের অতিরিক্ত চাপ কমাতে বিআইডব্লিউটিএ এর কর্মকর্তাদের বার বার মাইকিং করে দ্রুত যাত্রী নামিয়ে টার্মিনাল ছাড়ার নির্দেশ দিতে দেখা গেছে।

বরিশাল থেকে আসা কৃষি মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আতিকুর রহমান বলেন, পরিবারের সঙ্গে ঈদ শেষে আবার ঢাকায় ফিরলাম। ঈদের ছুটির সাথে একদিন ছুটি নিয়ে ছিলাম। বাড়ি আসতে সব জায়গায় বাড়তি ভাড়া দিতে হয়েছে।

পারাবাত-১২ লঞ্চের সুপারভাইজা নুর মোহাম্মদ বলেন, আজ যাত্রীর চাপ বেশি ছিল। রাতে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হওয়ায় একটু টেনশনে ছিলাম।  যাই হোক নিরাপদে পৌঁছাতে পেরেছি।

ইসলামপুরের ব্যবসায়ী হেমায়েত উদ্দীন বলেন, ঈদ শেষে গ্রাম থেকে ঢাকায় ফিরলাম।  অন্যবছর এ সময় বাড়ি থেকে ঢাকায় আসতে অনেক কষ্ট হয়। তবে এবার তেমন কোনো কষ্ট হয়নি। লঞ্চে যাত্রীদের স্বাভাবিক ভিড় ছিল।

বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত নাসির উদ্দীন পরিবারের সঙ্গে ঈদ শেষে ভোলা থেকে ঢাকায় ফিরেছেন। তিনি বলেন, ঈদের ছুটির সঙ্গে একদিনের ছুটি নিয়েছিলাম। আজ থেকে অফিস খোলা তাই চলে এসেছি। বৃদ্ধ বাবা-মাকে বাড়িতে রেখে এসেছি তাই মনটা একটু খারাপ লাগছে।  লঞ্চ ফাঁকা ছিল না। ঈদের পর ভিড় থাকবেই।

সদরঘাট নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের (বিআইডব্লিউটিএ) যুগ্ম পরিচালক মো. শহীদ উল্যাহ বলেন, রাত ৩টা থেকে বুধবার সকাল ৯টা পর্যন্ত টার্মিনালে ভিড়েছে ৭২টির মতো লঞ্চ। এবারের ঈদের যাত্রা স্বস্তির হয়েছে। নৌপথে কোথাও কোন দুর্ঘটনা খবর পাওয়া যায়নি। একই সঙ্গে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের খবরও আমরা পাইনি।