জাতীয়

দ্রুত ভাড়া সমন্বয়ের দাবি পরিবহন মালিকদের

জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর পরিপ্রেক্ষিতে যাত্রীদের সঙ্গে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে দ্রুত বাস ভাড়া সমন্বয়ের দাবি জানিয়েছেন পরিবহন মালিকরা।

শনিবার (৬ আগস্ট) পরিবহন মালিকরা জানান, যে হারে লিটারে জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে, সে হারে ভাড়া না বাড়ালে গাড়ি রাস্তায় নামানো সম্ভব হবে না। কারণ লস দিয়ে কেউ গাড়ি চালাবে না। এ জন্য দ্রুত সরকারকে ভাড়ার বিষয়টি সমাধান করতে হবে। তা না হলে বাসের স্টাফ ও যাত্রীদের মধ্যে অপ্রীতিকর ঘটনা চলতে থাকবে। ভাড়া সমন্বয় না হওয়া পর্যন্ত যদি বাসে যাত্রীদের থেকে অতিরিক্ত ভাড়া দাবি করা হয়, তাহলে সমস্যা দেখা দেবে।

সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েতুল্লাহ বলেন, ভাড়া সমন্বয়ের বিষয়ে আমরা পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের নেতা ও মালিকপক্ষ বৈঠকে বসতেছি। জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির সঙ্গে ভাড়ার সমন্বয় করার কমিটি রয়েছে। আমরা সেখানে রোববারই (৭ আগস্ট) বাস ভাড়া সমন্বয়ের জন্য আবেদন করবো।

মহাখালী বাস টার্মিনাল বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক বলেন, আশা করছি, সরকার দ্রুত সময়ের মধ্যে ভাড়া পুননির্ধারণ করে দেবে। তা না হলে লস দিয়ে রাস্তায় গাড়ি নামাতে চাইবে না কেউ। এতে যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হবে।

এদিকে, জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির খবরে দেশের বিভিন্ন জেলায় দেখা দিয়েছে পরিবহন সংকট। এতে বিপাকে পড়েছেন যাত্রীরা। বিশেষ করে রাজধানীতে এ চিত্র আরও ভয়াবহ। দাম ঘোষণার পরই শুক্রবার রাত ১১টার পর থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে বন্ধ হয়ে যায় সিটি পরিবহন। শনিবার সকালেও দেখা গেছে একই চিত্র। গণপরিবহন না পেয়ে অফিসগামী যাত্রীরা পড়েছেন চরম বিপাকে।

রাজধানীর মীরপুর, কলেজগেট, ফার্মগেট, বাসাবো, মালিবাগ, খিলগাঁও, মগবাজার, কারওয়ান বাজারসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে সকাল থেকেই গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছেন যাত্রীরা। ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও মিলছে না নির্দিষ্ট গন্তেব্যের পরিবহন। দু একটা গাড়ি আসলেও তাতে যেন তিল ধারনের ঠাঁই নেই। এসব গাড়িতে ভাড়া নিয়েও যাত্রী-চালকদের সঙ্গে বাক-বিতণ্ডতায় জড়াতে হতে দেখা গেছে।

প্রসঙ্গত, শুক্রবার (৫ আগস্ট) রাতে জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে, লিটারপ্রতি ডিজেলের দাম ৩৪ টাকা বাড়িয়ে ১১৪ টাকা, কেরোসিনও লিটারে ৩৪ টাকা দাম বাড়িয়ে ১১৪ টাকা করা হয়েছে। পেট্রোলের দাম লিটারে ৪৪ টাকা বাড়িয়ে ১৩০ টাকা ও অকটেনের দাম ৪৬ টাকা বাড়িয়ে লিটার প্রতি ১৩৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।