জাতীয়

বিদ্যুৎ-জ্বালানির দাম সহনীয় রাখার ব্যবস্থা করা হবে: প্রতিমন্ত্রী

বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দাম সবার জন্য সহনীয় পর্যায়ে রাখার ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) বিকেলে ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত উন্নয়নে বঙ্গবন্ধুর অবদান’ শীর্ষক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানিয়েছেন।

বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, ‘বর্তমানে সারা বিশ্বে অস্থির অবস্থা বিরাজ করছে। ছয় মাস আগেও এমন অস্থিরতা ছিল না। রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধের ফলে সারা বিশ্বে জ্বালানি তেলের ক্ষেত্রে অস্থিরতা বিরাজ করছে। পত্রিকায় দেখলাম, ইউক্রেন তাদের ফেলে রাখা কয়লার পাওয়ার প্ল্যান্টগুলো আবার চালু করার জন্য স্ট্যান্ডবাই রেখেছে। ইতোমধ্যে জার্মানিতে ৪০ শতাংশ গ্যাস বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।’

নসরুল হামিদ বলেছেন, ‘যেভাবে জ্বালানি তেলের দাম ঊর্ধ্বমুখী হয়েছিল, তাতে সব দেশ নিরবচ্ছিন্নভাবে জ্বালানি দিতে পারেনি। এ কারণে বিশ্বে মন্দাভাব দেখা দিয়েছে। ফলে, প্রতিটি দেশেই জ্বালানি তেলের মূল্য ঊর্ধ্বমুখী। বাংলাদেশ তার বাইরে নয়। আমরাও বাধ্য হয়েছি, জ্বালানি তেলের বিশেষ করে যেটা আমরা আমদানি করি, তার মূল্য সমন্বয় করতে। এই মূল্য সমন্বয় খুবই সাময়িক। আমরা মনে করি, বিশ্বে তেলের মূল্য আবার যদি নিম্নমুখী হয়, অবশ্যই আমরা আবার সমন্বয় করব।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমি এই সভা থেকে সবাইকে বলব, জাতির পিতা অত্যন্ত মেধা এবং দূরদর্শী সিদ্ধান্তের মাধ্যমে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ রচনার যে স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন, তার প্রতি আস্থা রেখে আমরা সকলেই একটু ধৈর্য ধারণ করি। আমাদের ভবিষ্যৎ অত্যন্ত ভালো। বাংলাদেশ বিশ্বে রোল মডেল হয়েছিল এবং তার থেকে আমরা কিন্তু পিছিয়ে পড়ি নাই। এই সাময়িক যুদ্ধের কারণে, যে পরিমাণ ধৈর্য ধারণ আমাদের করতে হবে, সমস্ত দেশ কিন্তু তাই করছে। তারা অপেক্ষা করছে, কবে নাগাদ এই মন্দাভাব থেকে বেরিয়ে আসবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের আমরা সকলে আশাবাদী, ওনার নেতৃত্বে এই অবস্থা থেকে দেশ আবার ঘুরে দাঁড়াবে। সোনার বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন আমরা বাস্তবায়ন করবই, ইনশাআল্লাহ।’

তিনি আরও বলেন, ‘দেশের প্রায় প্রতিটি বাড়িতে আমরা নিরবচ্ছিন বিদ্যুৎ দেওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছি। আমরা শতভাগ বিদ্যুতায়ন করেছি। যার ফলে সরকার বিদ্যুৎ বিভাগকে স্বাধীনতা পদকে ভূষিত করেছে। নিরবচ্ছিন্ন গ্যাসের জন্য আমরা প্রচুর পরিকল্পনা করেছি, দিনে দিনে তার বাস্তবায়ন চলছে। আশা রাখছি, এই বছরের শেষ নাগাদ আমরা একটি ভালো অবস্থায় যেতে পারব। আশা করছি, সকলের সহনীয় পর্যায়ে জ্বালানি এবং বিদ্যুৎকে যেন রাখা যায়, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা সেই ব্যবস্থাই বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত করব।’

জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মাহবুব হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বেগম ওয়াসিকা আয়শা খান, বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব মো. হাবিবুর রহমান। অনুষ্ঠানে মুখ্য আলোচক ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।