জাতীয়

বঙ্গবন্ধুকে হারিয়ে আমরা পথ হারিয়েছিলাম: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, বঙ্গবন্ধুকে হারিয়ে আমরা পথ হারিয়েছিলাম। আমরা আবার অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়েছিলাম। মুক্তিযুদ্ধের পর একটা ধ্বংসস্তূপের মধ্যে যখন ফিরে আসি তখন আমাদের ঘরবাড়ি কিছুই ছিল না। আমাদের ব্যাংকে সঞ্চয় ছিল শূন্য। সেখান থেকে বঙ্গবন্ধু দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। সারা পৃথিবী থেকে তিনি সাহায্য পেয়েছিলেন। সারা পৃথিবীর মানুষ তাকে ভালোবাসতো।

বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) রাতে রাজারবাগে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এ কথা বলেন।

স্পেশাল ব্রাঞ্চের অতিরিক্ত আইজি ও পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. মনিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মুখ্য আলোচক ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ও বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু সবাইকে ক্ষমা করে দিতে ভালোবাসতেন। কিন্তু এই ক্ষমায় তাকে যে কতখানি মূল্য দিতে হয়েছে তাও আমরা দেখলাম।

মুখ্য আলোচক মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন বলেন, বাকশাল নিয়ে অনেক অসত্য কথা প্রচার করা হয়। সত্যি বলতে আওয়ামী লীগের মধ্যে বাকশাল নিয়ে দ্বিধা-দ্বন্দ্ব আছে, ভয় ভীতি আছে।

সিনিয়র সচিব মো. আখতার হোসেন তার বক্তৃতায় বলেন, বঙ্গবন্ধু দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য আজীবন রাজনীতি করেছেন। তিনি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে গড়ে তোলার জন্য কাজ করেছেন।

আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ বলেন, পূর্ণাঙ্গ জাতিসত্তার বিকাশ বঙ্গবন্ধুর হাত ধরেই হয়েছে। যখন জাতিসত্তার বিকাশের শুরু তখনই এই জাতির একশ্রেণির মানুষ বঙ্গবন্ধুকে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করল। বাঙালি জাতির ক্ষেত্রেও একটি আদি পাপের সৃষ্টি করেছে। এর ফলে যত সহস্ত্র বছর এই জাতি তার অস্তিত্ব নিয়ে টিকে থাকবে তত বছর এই শোক বাঙালি জাতিকে বহন করতে হবে।

অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত আইজি, ঢাকাস্থ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের প্রধান, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে নিহত পুলিশ সদস্য এএসআই সিদ্দিকুর রহমানের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সম্মাননা স্মারক তার ছেলের হাতে তুলে দেওয়া হয়।