বাংলাদেশের সাথে ট্রানজিট চুক্তির আওতায় ভারতের পণ্য নিয়ে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে এসে পৌঁছেছে পণ্যবাহী একটি জাহাজ।
ঢাকায় অবস্থিত ভারতীয় হাইকমিশন সূত্র জানায়, মঙ্গলবার রাতে ‘এমভি ট্রান্স সামুদেরা’ নামের কার্গো জাহাজটি বন্দরের এনসিটি জেটিতে নোঙর করে। জাহাজটিতে এক কনটেইনার পণ্য (রড) রয়েছে। এ চালানটি বাংলাদেশের ভূখণ্ড হয়ে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যে (আসাম) যাবে।
২০২০ সালে এমভি সেঁজুতি জাহাজে কলকাতা বন্দর থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে ট্রানজিটের চার কনটেইনার পণ্য এসেছিল। গত মাসে মোংলা বন্দর দিয়ে ট্রানজিটের আরেকটি সফল ট্রায়াল রান সম্পন্ন হয়েছে। চলতি সপ্তাহে মেঘালয় থেকে চায়ের কনটেইনার ডাউকি-তামাবিল হয়ে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে ট্রানজিটের ট্রায়াল রানের শেষ চালানটি কলকাতা বন্দরে পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে।
ট্রান্স সমুদেরা জাহাজের শিপিং এজেন্ট ম্যাঙ্গো লাইনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইকবাল সুজন ভূঁইয়া জানান, কলকাতা বন্দর থেকে মোট ১২৪ একক আমদানি পণ্য বোঝাই করে জাহাজটি রাত ৮টায় চট্টগ্রাম বন্দরে ভিড়েছে। এর মধ্যে একটি কনটেইনারে ট্রানজিট পণ্য আছে। বাকি কনটেইনারে পণ্যের আমদানিকারক বাংলাদেশি ব্যবসায়ী। এর আগে ২০২০ সালের ২১ জুলাই ট্রান্সশিপমেন্টের প্রথম চালান কলকাতা বন্দর থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছিল।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, বাংলাদেশ-ভারত ট্রানজিট চুক্তির আওতায় আমদানি-রফতানি দুই ধরনের পণ্য উঠানামায় প্রস্তুত চট্টগ্রাম বন্দর। বন্দর কর্তৃপক্ষ প্রতিদিন গড়ে ১০ হাজার একক আমদানি-রফতানি-খালি কনটেইনার ওঠানামা করছে। ফলে ভারত থেকে আসা-যাওয়া করা ট্রানজিট-ট্রান্সশিপমেন্ট পণ্য অনায়াসেই এই বন্দরে ওঠানো-নামানো সম্ভব।
চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, প্রতিবেশী দেশ ভারতের সাথে ট্রানজিট চুক্তির আওতায় চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর দিয়ে ট্রায়াল রান সম্পন্ন হচ্ছে- এটি গৌরবের। এতে বন্ধু প্রতিম দু’দেশ উপকৃত হবে।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান জানান, ভারতের সেভেন সিস্টার্স রাজ্যগুলোর ট্রানজিট পণ্য পরিবহনে চট্টগ্রাম বন্দর শতভাগ প্রস্তুত।