জাতীয়

প্রবীণদের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে ডেটাবেজ তৈরির সুপারিশ

পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) আয়োজিত ওয়েবিনারে বক্তারা প্রবীণদের দক্ষতার ভিত্তিতে একটি ডেটাবেজ তৈরি করে তাঁদের সামর্থ্য অনুযায়ী উপযুক্ত কাজে অংশগ্রহণের সুযোগ প্রদান করার দাবি জানিয়েছেন।

বক্তারা বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে ৬০ বছর বা তার চেয়ে বেশি বয়সীদের প্রবীণ হিসেবে বিবেচনা করা হয় এবং দেশের মানুষের গড় আয়ু ৭২.৬ বছর। অর্থাৎ বার্ধক্যে পৌঁছানোর পর একজন মানুষ গড়ে ১৩ থেকে ১৫ বছর পর্যন্ত জীবিত থাকেন। এসময়ে তারা তাদের লব্ধ জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার মাধ্যমে সমাজে বিভিন্নভাবে ভূমিকা রাখতে পারেন।

আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস-২০২২ উপলক্ষে সোমবার পিকেএসএফর ‘প্রবীণ জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন কর্মসূচি’র আওতায় ওয়েবিনারের আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন পিকেএসএফ’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. নমিতা হালদার, এনডিসি।

সংস্থার অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. জসীম উদ্দিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন উপ-মহাব্যবস্থাপক গোকুল চন্দ্র বিশ্বাস। তিনি বলেন, প্রবীণদের জীবনমান উন্নয়নে সরকারি বিভিন্ন পদক্ষেপ (যেমন- বয়স্ক ভাতা, পেনশন, অবসর সুবিধা, বিধবা ভাতা, ভিজিএফ ইত্যাদি) সত্ত্বেও পরিবর্তিত বিশ্বে প্রবীণদের মর্যাদাপূর্ণ জীবন নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে বেশকিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে।

তিনি এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকার কর্তৃক প্রবীণদের জন্য সর্বজনীন পেনশন স্কিমের ব্যবস্থা করা, পিতা-মাতার ভরণ-পোষণ আইন, ২০১৩'-এর সঠিক প্রয়োগ নিশ্চিত করা এবং জাতীয় প্রবীণ নীতিমালা ২০১৩ অনুযায়ী প্রবীণদের জন্য বিনামূল্যে/হ্রাসকৃত মূল্যে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান ও হাসপাতালগুলোতে অগ্রাধিকার দেওয়াসহ বিভিন্ন প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।

এসময় ড. নমিতা হালদার প্রবীণদের জীবনমান উন্নয়নে পিকেএসএফ-এর গৃহীত বিভিন্ন উদ্যোগকে 'ক্যাটালিস্ট' হিসেবে অভিহিত করে সহযোগী সংস্থাসমূহকে এসকল উদ্যোগ এগিয়ে নিতে অনুরোধ করেন। পিকেএসএফ পরিচালনা ও সাধারণ পর্ষদ সদস্য নাজনীন সুলতানা সার্বজনীন পেনশন স্কিম চালু করা এবং বিনামূল্যে প্রবীণদের চিকিৎসা নিশ্চিত করার দাবি জানান।

দারিদ্র্য দূরীকরণে বহুমাত্রিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে ২০১৬ সালে শুরু হওয়া এ কর্মসূচিটি বর্তমানে ১০১টি সহযোগী সংস্থার মাধ্যমে ২১২টি ইউনিয়নে চলমান রয়েছে। সরকারের বয়স্কভাতা কার্যক্রমের আওতা বহির্ভূত প্রবীণ ব্যক্তিদেরকে এই কর্মসূচির আওতায় মাসিক ভাতা প্রদান, স্বাস্থ্যসেবা, জীবন সহায়ক উপকরণসহ নানাবিধ সেবা-পরিষেবা প্রদান করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, গত ১ অক্টোবর ‘পরিবর্তিত বিশ্বে প্রবীণ ব্যক্তির সহনশীলতা’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও যথাযোগ্য মর্যাদায় ‘আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস-২০২২’ উদযাপিত হয়।