জাতীয়

গুয়াতেমালার ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করার প্রস্তাব পররাষ্ট্রমন্ত্রীর

গুয়াতেমালার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মারিও অ্যাডলফো বুকারো ফ্লোরেস পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে টেলিফোনে আলাপ করেছেন। তারা দুই জনে দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতার বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বুধবার (৩০ নভেম্বর) এই টেলিফোন আলাপ হয়।

গুয়াতেমালার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইউনেস্কোর ইনট্যাঞ্জিবল কালচারাল হেরিটেজ কমিটির সুরক্ষার জন্য ইউনেস্কোর আন্তঃসরকারি কমিটির সদস্য হিসেবে গুয়াতেমালার ‘হলি উইক ইন গুয়াতেমালা’ মনোনয়নের জন্য ইউনেস্কোর ইনট্যাঞ্জিবল কালচারাল হিউম্যানের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার জন্য বাংলাদেশের সমর্থন চেয়েছেন।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দুই দেশের মধ্যে চমৎকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের কথা বিবেচনা করে গুয়াতেমালাকে বাংলাদেশের পূর্ণ সমর্থনের আশ্বাস দেন।  

আলাপকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন একই মূল্যবোধ ও নীতির ভিত্তিতে দুই বন্ধুপ্রতীম দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের প্রতি সন্তোষ প্রকাশ করেন।  

তিনি দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরদার করতে বাংলাদেশের ইচ্ছা প্রকাশ করেন।

মারিও অ্যাডলফো বুকারো ফ্লোরেস আগামীতে বাংলাদেশের সঙ্গে আরও শক্তিশালী সম্পর্ক গড়ে তোলার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।  

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য গুয়াতেমালার ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া সহজ করার প্রস্তাব দেন।  

দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক ও অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা ছাড় চুক্তি সইয়ের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি গুয়াতেমালার আরও বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে উৎসাহিত করেন।

মিয়ানমারে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের তাদের নিজ দেশে দ্রুত প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করে রোহিঙ্গা সঙ্কটের টেকসই ও স্থায়ী সমাধান আনতে গুয়াতেমালার কাছ থেকে অব্যাহত সমর্থন প্রত্যাশা করেন তিনি।  

তিনি গুয়াতেমালার পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণও জানান।

পররাষ্ট্রমন্ত্রীও ড. মোমেনকে গুয়াতেমালায় আমন্ত্রণ জানান। দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী জলবায়ু পরিবর্তন, মানুষের বাস্তুচ্যুতি, টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করার মতো বৈশ্বিক সমস্যা মোকাবিলায় বহুপাক্ষিক ফ্রন্টে একসঙ্গে কাজ করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।