বিভিন্ন দেশে করোনার সংক্রমণ বেড়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা পেলে বাংলাদেশের বিমানবন্দর ও স্থলবন্দরগুলোতে স্ক্রিনিংয়ের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘সিডও বিকল্প প্রতিবেদন ২০২২’ বিষয়ে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন।
গত রোববার চীন থেকে বাংলাদেশে আসা চারজনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রীর কাছে জানতে চাওয়া হয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনার সংক্রমণ বেড়েছে। বাংলাদেশের বিমানবন্দর ও স্থলবন্দরে স্ক্রিনিংয়ের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কি না? জবাবে ড. মোমেন বলেন, কোনো বন্দরে স্ক্রিনিংয়ের বিষয়ে আমরা এখনো কোনো কাজ করিনি। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আমাদের নির্দেশনা দেয়, আমরা সে অনুযায়ী কাজ করি।
মন্ত্রী বলেন, একটা সুসংবাদ দেই। এখন থেকে প্রতিবছর ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় প্রবাসী দিবস পালন করা হবে।
তিনি বলেন, প্রবাসীরা দীর্ঘদিন ধরেই আমাদের জন্য কাজ করছেন। স্বাধীনতাযুদ্ধের সময়ও তারা বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছেন। প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সে দেশের অর্থনীতি সচল থাকছে। আমরা চাই, তারা এ দেশের উন্নয়নের সঙ্গে আরও সম্পৃক্ত হোক। সেজন্য প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাব অনুযায়ী, আমরা প্রতিবছর ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় প্রবাসী দিবস পালন করব।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, অনেকে বলছেন, ১৮ ডিসেম্বর অভিবাসী দিবস পালন করা হচ্ছে। ওই দিবসটি অভিবাসীদের জন্য। কিন্তু, আমাদের যে ১ কোটি ২০ লাখ প্রবাসী বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আছেন, তাদের সম্মান জানাতে আমরা এ দিবস পালন করব।
যেসব প্রবাসী সর্বাধিক রেমিট্যান্স পাঠান, সিআইপি সম্মাননার মতো তাদের বিশেষ সম্মাননা দেওয়া হবে কি না, জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যারা বেশি রেমিট্যান্স দেন, তাদেরকে অবশ্যই আমরা সম্মান দেব।
এর আগে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ আয়োজিত ‘জেন্ডার সমতা প্রতিষ্ঠার জন্য সিডও সনদের পূর্ণ অনুমোদন ও বাস্তবায়ন চাই’ শীর্ষক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন, নারীর ক্ষমতায়নে ও সিডও সনদ বাস্তবায়নে সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ। নারী-পুরুষ মিলে এ ব্যাপারে ঐক্যবদ্ধভাবে দাবি তুলতে হবে।
সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার, মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. ইকবাল হোসেন ও গ্লোবাল টিভির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা। আলোচনা করেন স্টেপসের নির্বাহী পরিচালক রঞ্জন কর্মকার, বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট সালমা আলী, অ্যাকশনএইডের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ্ কবির, গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী, নারীপক্ষের সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুন-নাহার, ডিজএবলড ওয়েলফেয়ার সোসাইটির নির্বাহী পরিচালক মর্জিনা আহমেদ এবং আদিবাসী নারী নেটওয়ার্কের সমন্বয়কারী ফাল্গুনী ত্রিপুরা।
বক্তারা বলেন, আমাদের সংবিধানে নারী-পুরুষের সমমর্যাদা ও সমঅধিকারের কথা বলা আছে। সিডও সনদের পূর্ণ বাস্তবায়নে প্রয়োজন সরকারের সদিচ্ছা।