জাতীয়

দিল্লির মিশনের মাধ্যমে ‘অখণ্ড ভারতের’ ব্যাখ্যা জানবে ঢাকা

ভারতের নতুন সংসদ ভবনে ম্যুরালের মাধ্যমে ‘অখণ্ড ভারতের’ মানচিত্রে কয়েকটি দেশের সঙ্গে বাংলাদেশকেও দেখানো হয়েছে। এ বিষয়ে ভারতের আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা জানতে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করতে নয়াদিল্লিস্থ বাংলাদেশ মিশনকে নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা।

সোমবার (৫ জুন) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ তথ‌্য জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা যেটা জেনেছি, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেছেন যে, এটি অশোকা সাম্রাজ্যের মানচিত্র। এটি যিশু খ্রিষ্টের জন্মের ৩০০ বছর আগের। সে সময়ে যে অঞ্চলটি ছিল, সেই মানচিত্রের এটি একটি ম্যুরাল। ওই ম্যুরালে চিত্রায়ন করা হয়েছে মানুষের যাত্রা। এখানে সাংস্কৃতিক মিল থাকতে পারে, কিন্তু এর সঙ্গে রাজনীতির কোনো সম্পর্ক নেই।

এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘অখণ্ড ভারতের’ ব‌্যাখ‌্যা জানতে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করতে নয়াদিল্লিস্থ বাংলাদেশ মিশনকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি। 

শাহরিয়ার আলম বলেন, বিষয়টি নিয়ে বিভ্রান্ত হওয়ার কিছু নেই। তারপরও বাড়তি ব্যাখ্যার জন্য আমরা দিল্লির মিশনকে বলেছি ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলতে, তাদের আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা কী তা জানার জন্য।

সম্প্রতি ভারতের নতুন সংসদ ভবনে ম্যুরালের মাধ্যমে ‘অখণ্ড ভারতের’ এক মানচিত্র ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। সেই অখণ্ড ভারতের মধ্যে আছে আফগানিস্তান, পাকিস্তান, নেপাল, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা ও মিয়ানমার।

বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইয়ামা কিমিনোরি গতকাল (রোববার) গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বিএনপির নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এর এক দিন আগে জাপানি রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচনসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের কাছে জানতে চান।

রাষ্ট্রদূতরা এ ধরনের কাজ করতে পারেন কি না, জানতে চাওয়া হয় শাহরিয়ার আলমের কাছে। জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমার বিস্তারিত জানা নেই। আজ থেকে ছয় মাস আগে একটি পরিস্থিতি গিয়েছে। কেউ কেউ তখন দায়িত্বের বাইরে গিয়ে কাজ করেছেন। যদি কোনো দেশের রাষ্ট্রদূত আবারও সে ধরনের কোনো কর্মকাণ্ডে জড়িত হন, যেটা আমরা মনে করব যে, তাদের সীমা লঙ্ঘন করে ফেলছেন, এটা আমলে নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।

এদিকে, একই প্রেস ব্রিফিংয়ে সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছে লেখা দেশটির ছয় কংগ্রেসম্যানের ‘কথিত’ চিঠিটি দুর্বল ও সস্তা বলে আখ্যা দিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।

মার্কিন প্রেসিডেন্টের কাছে ছয় কংগ্রেসম্যানের চিঠি সরকার কিভাবে দেখছে, জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা চিঠিটা সংগ্রহ করেছি। অন্যান্য চিঠিপত্রের মতো এখানেও অসামঞ্জস্য আছে। অন্যান্য চিঠির মতো বাড়াবাড়ি আছে। তথ্যের একটা বড় ধরনের ঘাটতি আছে। কংগ্রেসম্যানদের প্রচেষ্টা দুর্বল ও সস্তা।

কংগ্রেসম্যানদের চিঠি বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কে ফাটল ধরাতে পারবে না বলে করেন শাহরিয়ার আলম।