জাতীয়

ধর্মঘটে অচল কমলাপুর কাস্টম হাউস আইসিডি

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক : রাজধানীর কমলাপুর কাস্টম হাউস আইসিডিতে কমিশনার ড. মারুফুল ইসলাম ও যুগ্ম কমিশনার খালেদ মোহাম্মদ আবুল হোসেনের পদত্যাগের দাবিতে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট অব্যাহত রয়েছে। কোনো সমাধান না আসায় মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিনের দিনের মত সকাল থেকেই ধর্মঘট পালন করে আমদানিকারকরা। সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় কার্যত অচল কমলাপুর আইডিসডি। ফলে বিপুল পরিমান রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। ঢাকা কাস্টম এজেন্ট অ্যাসোশিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ফারুক আলম বলেন, ‘কোনো ধরণের সমাধান বা আশ্বাস না আসায় ধর্মঘট অব্যাহত রয়েছে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত চলবে। আগামীকাল বুধবার সকালে এনবিআর সদস্য শুল্কের সঙ্গে আমাদের বৈঠক হবার কথা রয়েছে। বৈঠক শেষে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’ এর আগে সোমবার সকাল থেকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান সম্মিলিত সিএনএফ এজেন্ডা/আমদানিকারক ব্যানারে ধর্মঘট শুরু করে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবার ঘোষণা দিয়েছে।  আন্দোলনকারীদের লিখিত অভিযোগে বলা হয়, কমিশনার ড. মারুফুল ইসলাম ও যুগ্ম কমিশনার খালেদ মোহাম্মদ আবুল হোসেনের স্বেচ্ছাচারিতা ও অনিয়ম। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের এসআরও থাকা সত্বেও প্রতিটি চালান শতভাগ কায়িক পরীক্ষা করা, শুল্কায়ন বিধিমালা ২০০০ না মেনে চট্টগ্রাম ও আইসিডি শুল্ক স্টেশনের উচ্চতর মূল্যে শুল্কায়ন, পুনঃপরীক্ষা করে হয়রানি, ২০ থেকে ২৫ দিন পর পুনঃপরীক্ষার প্রতিবেদন দেওয়া, রাত্রীকালীন পরীক্ষার নামে হয়রানি ইত্যাদি। আন্দোলনকারী বেলায়েত হোসেন বলেন, ‘কমিশনার ড. মারুফুল ইসলাম ও যুগ্ম কমিশনার খালেদ মোহাম্মদ আবুল হোসেনের পদত্যাগ বা বদলি না হওয়া পর্যন্ত অনিদির্ষ্টকালের ধমঘর্ট চলবে।’এ ব্যাপারে ড. মারুফুল ইসলাম বলেন, ‘এটা অযৌক্তিক আন্দোলন। এখানো কাউকে কোনো হয়রানি করা হয় না। এনবিআরের সঙ্গে এ বিষয়ে কথাবার্তা চলছে। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা চলছে। কিন্তু তারা এখনো আলোচনায় আসেননি।’ রাতে পরীক্ষার কথা স্বীকার করে এ কর্মকর্তা বলেন, ‘অনেক সময় ব্যবসায়ীদের স্বার্থের কথা বিবেচনায় এনে রাতেও পণ্য পরীক্ষা করা হয়। এতে ব্যবসায়ীরা লাভবান হন, হয়রানি নয়।’

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/১০ জুন ২০১৪/নিয়াজ/শামসুল