জাতীয়

‘আতর-টুপির বিক্রি কম, তবুও আলহামদুলিল্লাহ’

ঈদুল ফিতরের বাকি আর মাত্র একদিন। এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে ছুটির উৎসব। ঈদের নামাজে মুসলিমদের বাড়তি আগ্রহের বিষয় থাকে আতর-টুপিতে। নতুন জামার সাথে নতুন টুপিও চায়। সঙ্গে আতরদানি। ঈদের দিন ঈদগাঁ যাওয়ার সময় সুগন্ধি ব্যবহার করা সুন্নত। তাই ছোট-বড় সবাই সুগন্ধি হিসেবে আতর ব্যবহার করেন।

মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) রাজধানীর সবচেয়ে বড় আতর-টুপির মার্কেট বায়তুল মোকাররম ঘুরে দেখা যায়, মানুষের ভিড়। জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ গেট সংলগ্ন বিশাল এ মার্কেটে পাওয়া যায় নামীদামী আতর, সুরমা। তসবি, টুপি, জায়নামাজেরও বিশাল সমারোহ। ঈদের আগে পছন্দের আতর-টুপি-তসবি কিনতে অনেকেই ভিড় করেন। তবে বিক্রেতাদের দাবি, সব জিনিসপত্রের দাম ঊর্ধ্বমুখী। মানুষ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতেই হিমশিম খাচ্ছেন। এর প্রভাব আতর, টুপি, জায়নামাজের ওপরও পড়েছে। তবে যা বিক্রি হয়েছে, তাতে ‘আলহামদুলিল্লাহ’ বলছেন বিক্রেতারা।

দোকানিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ১০০ থেকে ৬০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে রকমারি ডিজাইনের টুপি। পাকিস্তানি কারুকার্যখচিত এক ধরনের টুপি পাওয়া যাচ্ছে, মূল্য ২৬০০ টাকা। তবে, ২০০-২৫০ টাকার টুপি বেশি বিক্রি হচ্ছে বলে জানান বিক্রেতারা। চাহিদা রয়েছে ৩০০-৪০০ টাকার সুতি কাপড়ের টুপিরও। আর আতর পাওয়া যাচ্ছে ১০০ থেকে ৮০০ টাকার মধ্যে। তসবি রয়েছে ২০ থেকে ২৫০০ টাকার মধ্যে।

টুপিবিক্রেতা রফিকুল আউয়াল বলেন, ‘২৬ বছর ধরে বায়তুল মোকাররমে ব্যবসা করি। এত কম বিক্রি আগে কখনো হয়নি। অন্যান্য বছর ২৫ রোজার মধ্যে প্রায় বেচা শেষ হয়ে যাই। কিন্তু এ বছর বেচাকেনা নাই। মানুষ কিনবেই-বা কেমনে, জিনিসপত্রের যে দাম! হিমশিম খেতে হচ্ছে সবাইকে। তারপরও যা বিক্রি হচ্ছে আলহামদুলিল্লাহ।’

আতরবিক্রেতা ইয়াসিন বলেন, ‘১০০ থেকে ৮০০ টাকার মধ্যে আতর পাওয়া যাচ্ছে। বিক্রি মোটামুটি ভালোই আছে। তবে, অন্যান্য বছরের তুলনায় কিছুটা কমই।’ তসবিবিক্রেতা মানিক বলেন, ‘বিক্রি আলহামদুলিল্লাহ হচ্ছে ভালোই। তবে, অন্যান্য বছরের তুলনায় কিছুটা কম।’