জাতীয়

‘প্রধানমন্ত্রী পার্বত্য চট্টগ্রামের জনজীবনে অভূতপূর্ব উন্নয়ন ঘটিয়েছেন’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পার্বত্য চট্টগ্রামের কৃষ্টি, সংস্কৃতি ও জনজীবনের অভূতপূর্ব উন্নয়ন ঘটিয়েছেন বলে জানিয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাদের পার্বত্যবাসীর মধ্যে শান্তি ও উন্নয়নের যে সোপান রচনা করেছেন তা দেশবাসীর কাছে আজীবন এক মাইলফলক স্বীকৃতি হয়ে থাকবে।

বুধবার (১০ এপ্রিল) খাগড়াছড়ি সদরের টাউন হল প্রাঙ্গণে ত্রিপুরা জাতির ঐতিহ্যবাহী ‘বৈসু উৎসব ২০২৪’ উপলক্ষে শোভাযাত্রা উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।

পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে অনেক উচ্চে আসীন করতে নিরন্তর প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী যেন আমাদের দেশের উন্নয়নের ধারা ত্বরান্বিত করে একটি উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত করতে পারেন সেজন্য আমরা সবাই আন্তরিকতার সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যেতে চাই।

প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা বলেন, সব সংস্কৃতির মাঝে আমরা ঐক্যের বন্ধন সৃষ্টি করতে চাই ঐতিহ্যবাহী বৈসু উৎসবের মাধ্যমে পার্বত্য অঞ্চলে বসবাসরত বিভিন্ন গোত্র ও সম্প্রদায়ের মাঝে হৃদ্যতার মেলবন্ধন আরও সুদৃঢ় হবে। বৈসু মানুষের মধ্যে বৈষম্য দূর করবে; শান্তি, শৃঙ্খলা ও ঐক্যের বন্ধন গড়ে তুলবে।

পরে রঙিন বেলুন উড়িয়ে বৈসু উৎসবের উদ্বোধন করেন পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা। তিনি বর্ণাঢ্য এক শোভাযাত্রায় অংশ নেন। শোভাযাত্রাটি খাগড়াছড়ি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে ত্রিপুরা সংসদের কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়। এ সময় ত্রিপুরা গোষ্ঠীর ঐতিহ্যবাহী পোশাকে সজ্জিত হয়ে ত্রিপুরা শিশু, কিশোর, তরুণরা গান, নৃত্যসহ এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে। প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা উপস্থিত সবার সঙ্গে তা উপভোগ করেন।

ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের বৈসু এ উৎসবে শামিল হন খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু, খাড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান, পুলিশ সুপার মুক্তা ধর, পৌর মেয়র নির্মলেন্দু চৌধুরী, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাজি মো. শানে আলম, পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য কল্যাণ মিত্র বড়ুয়া, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হাজি মো. দিদারুল আলম, খাগড়াছড়ি সাংবাদিক ইউনিয়নের (কেইউজে) সভাপতি প্রদীপ চৌধুরীসহ প্রশাসনের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি ও ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের বিভিন্ন বয়সী মানুষ।