জাতীয়

সচিবালয়ে ঈদের আমেজ, শুভেচ্ছা বিনিময়ে পার প্রথম কর্মদিবস

পবিত্র ঈদুল ফিতর ও পহেলা বৈশাখের ছুটির পর সোমবার (১৫ এপ্রিল) খুলেছে প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র বাংলাদেশ সচিবালয়। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতি কম হলেও সচিবালয়ে বিরাজ করছে ঈদের আমেজ। ঈদ ও নববর্ষের শুভেচ্ছা বিনিময়ে পার হয়েছে ছুটি পরবর্তী প্রথম কর্মদিবস।

সোমবার সকাল থেকে অফিসে এসে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সহকর্মীদের সঙ্গে ঈদ ও নববর্ষের শুভেচ্ছা বিনিময় ও কোলাকুলি করেন। বেশকিছু মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও সচিবকে দেখা গেছে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করতে। 

মন্ত্রণালয় ঘুরে দেখা গেছে, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতি স্বাভাবিকের তুলনায় বেশ কম। কাউকে কাউকে দেরি করে অফিসে আসতে দেখা গেছে। সচিবালয়ে চার নম্বর ভবনের সামনে গাড়ি রাখার জায়গা অনেকটাই ফাঁকা ছিল।

আইন মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, ভূমি মন্ত্রণালয়, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়; বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে কর্মকর্তা- কর্মচারীদের উপস্থিতি ছিল অনেক কম। অনেক কক্ষেই কর্মকর্তারা ছিলেন না। কোনো কক্ষে ৪-৫ জন প্রশাসনিক কর্মকর্তা বসার ব্যবস্থা থাকলেও দেখা গেছে এক-দুইজন ছাড়া বাকিরা এখনো ছুটিতে আছেন। সচিবালয়ে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের উপস্থিতিও ছিল কম। 

সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরের আসেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। এর কিছু সময় পরে আসেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক। পরে আসেন অন্যান্য মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী।

বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের বলেন, অনেক ভিড়ের সচিবালয় এখন ফাঁকা। রাস্তাও ফাঁকা। আশা করছি, সচিবালয় স্বাভাবিক হতে আগামী সপ্তাহ লেগে যাবে।

কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জানিয়েছেন, ঈদের পর প্রথম কর্মদিবসে সচিবালয়ে অনেকটাই ঈদের আমেজ থাকে। যারা দূর-দূরান্তে ঈদ করতে যান, তারা সাধারণত ঈদের ছুটির বাইরেও বাড়তি ছুটি নেন। তাই, সাধারণত দুই ঈদের পর সচিবালয়ে উপস্থিতি স্বাভাবিক হতে কিছুদিন সময় লেগে যায়। আগামী সপ্তাহে সচিবালয়ের উপস্থিতি ও কাজকর্ম স্বাভাবিক হবে।