কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে গুলিবিদ্ধ হওয়া বাবুল হাওলাদার (৪০) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। গলায় গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন তিনি। গতকাল রোববার রাত ১১টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) তার মৃত্যু হয়। চিকিৎসকের বরাত দিয়ে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা মেডিক্যাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. বাচ্চু মিয়া।
নিহত বাবুল হাওলাদারের ছেলে মো. পারভেজ হাওলাদার জানান, তাদের বাড়ি মুন্সীগঞ্জ জেলার লৌহজং থানার আপর গ্রামে। তারা রাজধানীর রামপুরার উলন রোডে থাকতেন। বাবুল হাওলাদার রং মিস্ত্রির কাজ করতেন।
পারভেজ জানান, গত ১৯ জুলাই শুক্রবার সকালে পূর্ব রামপুরা কাজে গিয়েছিলেন তার বাবা। দুপুরে জুমার নামাজের পর সেখান থেকে পায়ে হেঁটে বাসায় ফিরছিলেন। তখন ওই এলাকাতে ব্যাপক আন্দোলন ও গোলাগুলি চলছিল। তিনি হাতিরঝিল পলাশবাগ মোড় দিয়ে বাসায় ফেরার সময় রাস্তা পার হতে গেলে তার গলার নিচে একটি গুলি লাগে। খবর পেয়ে তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে ওই দিনই ঢাকা মেডিক্যালে এনে ভর্তি করেন।
সোমবার (২৯ জুলাই) ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।
এর আগে কোটা সংস্কার আন্দোলনে সংঘাত-সহিংসতায় সারা দেশে সরকারিভাবে এ পর্যন্ত ১৪৭ জন মারা গেছে বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। রোববার (২৮ জুলাই) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।