আগামী মার্চ থেকে টাঙ্গাইলের শালবন পুনরুদ্ধারে অভিযান চলবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
তিনি বলেছেন, ‘‘প্রকৃতি রক্ষায় হারিয়ে যাওয়া বনভূমি উদ্ধার অত্যন্ত জরুরি। আগামী মার্চ থেকে টাঙ্গাইলের শালবন পুনরুদ্ধারে সরকার মাঠে নামবে। দেশের সব বনভূমি রক্ষায় সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। শালবন উদ্ধার কার্যক্রমে স্থানীয় জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হবে।’’
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) রাজধানীর বন ভবনে ‘সহ-ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে মধুপুর গড়ের শালবন পুনরুদ্ধার’ বিষয়ক কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, ‘‘বননির্ভর জনগোষ্ঠীর প্রয়োজন অনুযায়ী একটি কর্মপরিকল্পনা তৈরি করা হবে। প্রয়োজন হলে কর্মপরিকল্পনা হালনাগাদ করতে হবে। মার্চের মধ্যেই গেজেট নোটিফাই কমিটি গঠন করে ভিলেজ ফরেস্ট রুল তৈরি করা হবে। সেখানে বননির্ভর জনগোষ্ঠীর অধিকার এবং বন বিভাগের দায়িত্ব ও কর্তব্য অন্তর্ভুক্ত করা হবে। বন সংক্রান্ত হয়রানিমূলক মামলাগুলো দ্রুত মীমাংসা করা প্রয়োজন। বন বিভাগকে বিশেষজ্ঞ ও জনগোষ্ঠীর সহযোগিতা করতে হবে।’’
‘‘বন বিভাগের কাজ হবে বিশেষজ্ঞ ও বননির্ভর জনগোষ্ঠীকে সহযোগিতা করা। এখানে বন বিভাগ যে ১৫০ একরে বনায়ন করবে। এই বন পুনরুদ্ধারে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। স্থানীয়দের অভিজ্ঞতা, জ্ঞান ও সহযোগিতা ছাড়া এই উদ্যোগ সফল হবে না’’ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
কর্মশালায় প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী সভাপতিত্ব করেন। এতে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এ জেড এম মঞ্জুর রশীদ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. খালেদ মিসবাহুজ্জামান এবং খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এ কে ফজলুল হক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
কর্মশালায় মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, পরিবেশবিদ, গবেষক, গণমাধ্যমকর্মী এবং স্থানীয় বননির্ভর জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।