সীমান্তে ভারত যেভাবে পুশইন (অবৈধ অনুপ্রবেশ) করেছে তা সঠিক প্রক্রিয়া নয় বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ও প্রধান উপদেষ্টার রোহিঙ্গা বিষয়ক হাইরিপ্রেজেনটেটিভ ড. খলিলুর রহমান।
বুধবার (৭ মে) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
খাগড়াছড়ি ও কুড়িগ্রাম সীমান্তে ভারত থেকে সে দেশের নাগরিকসহ লোকজনকে পুশইন করার বিষয়ে জানতে চাইলে ড. খলিলুর রহমান বলেন, “আমরা প্রতিটি কেস আলাদা আলাদাভাবে নিরীক্ষণ করছি। আমাদের সিদ্ধান্ত হচ্ছে, আমাদের দেশের নাগরিক যদি কেউ হয়ে থাকেন, আর সেটা যদি প্রমাণিত হয়, তাহলে তাদের আমরা গ্রহণ করব। তবে, এটা ফরমাল চ্যানেলে হতে হবে। এভাবে পুশইন করাটা সঠিক প্রক্রিয়া নয়।”
আরো পড়ুন: খাগড়াছড়িতে ৬৬ ভারতীয়র অনুপ্রবেশ
এ বিষয়ে ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, “কুড়িগ্রাম ও খাগড়াছড়ি দিয়ে কয়েকজনকে পুশইন করার যে খবর আসছে, বাংলাদেশ তা যাচাই করবে। শুধু বাংলাদেশের নাগরিক হলে আমরা নেব। বিষয়টি দিল্লিকে জানানো হয়েছে।”
পররাষ্ট্র সচিব পরিবর্তন হচ্ছে কি না জানতে চাইলে ড. খলিলুর রহমান বলেন, “সে রকম কিছু হলে তো আপনারা জানবেন।”
বুধবার খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গা এবং পানছড়ি সীমান্ত দিয়ে ৬৬ জন ভারতীয় নাগরিককে পুশইন করে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সদস্যরা। কুড়িগ্রাম সীমান্ত দিয়ে আরো ৪৪ জনকে পুশইন করেছে তারা।
অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে ৬৬ ভারতীয় নাগরিককে আটক করেছে বিজিবি। খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসন জানায়, মাটিরাঙার তাইন্দং সীমান্ত দিয়ে ১৫ জন, গোমতি ইউনিয়নের শান্তিপুর সীমান্ত দিয়ে ২৭ জন ও পানছড়ির লোগাং ইউনিয়নের রুপসেন পাড়া সীমান্ত দিয়ে ২৪ জন অনুপ্রবেশ করে।
আরো পড়ুন: কুড়িগ্রাম সীমান্তে ৮ বাংলাদেশিসহ আটক ৪৪
শান্তিপুর সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ করা ২৭ জন নিজেদের গুজরাটের বাসিন্দা দাবি করেছেন। তাদের দাবি, গুজরাট থেকে উড়োজাহাজে করে সীমান্তে এনে বিএসএফ সদস্যরা তাদের বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করায়। আটককৃতরা বাংলা ভাষাভাষী। একই দিন কুড়িগ্রামের রৌমারী ও ভূরুঙ্গামারী সীমান্তে আট বাংলাদেশিসহ ৪৪ জনকে আটক করা হয়।