স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, ওআইসি প্ল্যাটফর্মে যুবকদের কার্যকর অংশগ্রহণ ও পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়ানো এখন সময়ের দাবি।
সোমবার (৩০ জুন) মরক্কোর ঐতিহাসিক শহর মারাকেশে ‘ওআইসি ইয়ুথ ক্যাপিটাল ২০২৫’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে ওআইসির সদস্য দেশগুলোর যুবমন্ত্রী, নীতিনির্ধারক, কূটনৈতিক প্রতিনিধি ও তরুণ নেতারা অংশ নেন।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, যুবসমাজকে টেকসই উন্নয়নের শক্তি হিসেবে গড়ে তুলতে হলে ওআইসি সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে অভিজ্ঞতা ও উদ্যোগ বিনিময় বাড়াতে হবে। প্রযুক্তি, উদ্যোক্তা উন্নয়ন ও নেতৃত্ব বিকাশে আমাদের যৌথ অগ্রযাত্রা হতে পারে নতুন দিগন্তের সূচনা।
উদ্বোধনী আয়োজনে অংশ নিয়ে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বাংলাদেশের তরুণসমাজের সম্ভাবনা, ডিজিটাল রূপান্তর, কর্মসংস্থান ও নেতৃত্ব উন্নয়ন ইস্যুতে সরকারের নানা পদক্ষেপ তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে তরুণরা শুধু ভবিষ্যতের নেতৃত্ব নয়, তারা বর্তমানেও পরিবর্তনের চালিকাশক্তি।
তার বক্তব্যে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর প্রতিনিধিরা গভীর আগ্রহ প্রকাশ করেন এবং বাংলাদেশ সরকারের অন্তর্বর্তী পর্যায়ের অন্তর্ভুক্তিমূলক যুবনীতি ও কর্মপরিকল্পনার প্রশংসা করেন।
অনুষ্ঠানের ফাঁকে উপদেষ্টা সংযুক্ত আরব আমিরাত, তুরস্ক, জর্ডান, মৌরিতানিয়া, গাম্বিয়া ও জিবুতির প্রতিনিধিদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও আলোচনা করেন। এ সময় তিনি ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বরে ঢাকায় অনুষ্ঠেয় গ্লোবাল ইয়ুথ সামিটে ওআইসি সদস্য দেশগুলোর সক্রিয় অংশগ্রহণের আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের তরুণরা ইতোমধ্যে বৈশ্বিক নেতৃত্ব, উদ্ভাবন ও উদ্যোগে নিজেদের সক্ষমতা প্রমাণ করেছে। এই সামিট হবে আমাদের অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি ও নতুন দিক উন্মোচনের একটি বড় সুযোগ।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন মরক্কোর যুব, সংস্কৃতি ও যোগাযোগবিষয়ক মন্ত্রী মোহাম্মেদ মেহদি বেনসাইদ। তিনি তার বক্তব্যে ওআইসি প্ল্যাটফর্মে যুব নীতিমালা, সামাজিক উদ্যোগ ও সাংস্কৃতিক কূটনীতির প্রসারে সহযোগিতা বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
ওআইসি ইয়ুথ ক্যাপিটাল ২০২৫-এ বাংলাদেশের সক্রিয় অংশগ্রহণ ভবিষ্যতের আন্তর্জাতিক যুব কূটনীতিতে দেশের অবস্থান আরো সুদৃঢ় করবে।
তরুণদের শক্তিকে উন্নয়নের মূলধারায় আনতে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বাড়ানো এবং নতুন অংশীদারত্ব গড়ার ক্ষেত্রে এ আয়োজন গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হয়ে থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।