জাতীয়

পুশইন করা ভারতীয়দের ফেরত পাঠাবে বাংলাদেশ

কমবেশি দুই হাজার মানুষ বাংলাদেশে পুশইন করেছে ভারত। এদের মধ্যে যারা ভারতীয় তাদের দিল্লিতে ফেরত পাঠাবে ঢাকা বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।

জুলাই পুনর্জাগরণ অনুষ্ঠানমালার অংশ হিসেবে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত মাসব্যাপী ফটোগ্রাফি এবং গ্রাফিতি প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বুধবার (১৬ জুলাই) সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান তিনি।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেন, ‍“ভারত থেকে পুশইন অব্যাহত রয়েছে। ইতোমধ্যে এ সংখ্যা দুই হাজারে দাঁড়িয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ভারতীয় কাউকে পুশইন করা হলে তাদের অবশ্যই ফেরত পাঠানো হবে। ভারতের নাগরিকদের ফেরত পাঠানোর জন্য আমাদের চেষ্টা করতে হবে না। কারণ, ইতোমধ্যে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী এ বিষয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন যে, ‘বাংলা ভাষাভাষী মানুষকে ভারত থেকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে।’ এটা নিয়ে আমাদের বিচলিত হওয়ার কিছু নেই। অবশ্যই ভারতীয় যারা আছেন, তারা ভারতে ফেরত যাবেন। এতে কোনো সন্দেহ নেই। ভারতের সঙ্গে আমাদের যে অ্যারেঞ্জমেন্ট আছে পুশইন তার পরিপন্থি।” 

তিনি আরো বলেন, “আমরা একাধিকবার, সাম্প্রতি আবারও তাদেরকে মনে করিয়ে দিয়েছি যে, তোমাদের সঙ্গে আমাদের একটি মেকানজিম আছে। আমরা দেখব এবং আমাদের লোক হলে অবশ্যই আমরা ফেরত নেব। এই অ্যারেঞ্জমেন্টের আওতায় গত কিছু দিনের মধ্যে কিছু লোককে আমরা ফেরত নিয়েছি। আমরা জোর দিচ্ছি, এটি যেন তারা বজায় রাখে।”

সীমান্তে হত্যাকাণ্ড নিয়ে সরকার মোটেও নমনীয় নয় জানিয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “আমরা স্পষ্টভাবে বলেছি, কেউ একজন আইন ভঙ্গ করছে বলে তাদের গুলি করে মেরে ফেলার অধিকার কোনো সীমান্ত বাহিনীর নেই। এটি বেআইনি এবং আমরা তাদের বিচারও দাবি করেছি। যারা এ কাজটি করেছে, তাদের যেন ভারতীয় আইনে বিচার করা হয়। এটি আমাদের অবস্থান। আমরা নিয়মিত প্রতিবাদ বহাল রেখেছি।”

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্ক প্রত্যাহার নিয়ে আলোচনা কতটা ফলপ্রসূ হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “এ প্রসঙ্গে আসলে আমি কিছু বলতে চাই না। বলতে চাই না এ কারণে যে, নেগোসিয়েশন এখনো চলমান। নেগোসিয়েশন চলমান অবস্থায় এ নিয়ে কমেন্ট করে…আমি যেহেতু সরকারের মানুষ সরকারের পক্ষ থেকে আমি কোনো বিব্রত পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চাই না। এটা বাণিজ্য মন্ত্রণালয় দেখছে।”

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের নন-ডিসক্লোজার অ্যাগ্রিমেন্টের (গোপনীয়তার চুক্তি) কথা বলেছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। নন-ডিসক্লোজার চুক্তির বিষয়ে জানতে চাইলে তৌহিদ হোসেন বলেন, “নন-ডিসক্লোজার চুক্তি হতেই পারে, এ তথ্যটা আমরা গোপন রাখব। এক্ষেত্রে কী হবে না হবে…আমি কিন্তু সব কিছু জানিও না। আমি এ সম্পর্কে কোনো কমেন্ট করতে চাই না। যেহেতু, নেগোসিয়েশন চলছে, দেখি ফলাফল কী দাঁড়ায়।”

সাম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানিতে ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন সে দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, যা আগামী আগস্ট থেকে কার্যকর হবে।