জাতীয়

সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশ থেকে আরো জনশক্তি নেওয়ার আহ্বান নৌপরিবহন উপদেষ্টার

বাংলাদেশ থেকে সিঙ্গাপুরে শিপিং সেক্টরসহ অন্যান্য সেক্টরে আরও বেশি জনশক্তি নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।

 বুধবার (১৬ জুলাই) সিঙ্গাপুরের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দপ্তরে সিঙ্গাপুরের পরিবেশ ও টেকসই উন্নয়নবিষয়ক মন্ত্রী এবং বাণিজ্য সম্পর্ক বিষয়ক দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী গ্রেস ফু’র সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে তিনি এ আহবান জানান।

নৌপরিবহন উপদেষ্টা বলেন, “বাংলাদেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি মেরিন একাডেমিগুলো থেকে প্রতি বছরই দক্ষ ও মেধাবী মেরিনারগণ গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করছেন। সিঙ্গাপুরের শিপিং সেক্টরে তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হলে তারা সিঙ্গাপুরের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারবে। একইসঙ্গে বাংলাদেশও বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারবে।”

তিনি বলেন, “বাংলাদেশ পোশাক শিল্পেও অভূতপূর্ব অগ্রগতি সাধন করেছে। বাংলাদেশের পোশাক বিশ্বমানের। ইউরোপ-আমেরিকারসহ সারা বিশ্বে বাংলাদেশের পোশাকের বিশাল চাহিদা রয়েছে। বাংলাদেশের পাটজাত পণ্যেরও বিশ্ব জুড়ে সুখ্যাতি রয়েছে। সিঙ্গাপুর বাংলাদেশ থেকে বাংলাদেশের তৈরি উন্নতমানের পোশাক ও পাটজাত বিভিন্ন দ্রব্য সামগ্রী আমদানি করতে পারে।”

সিঙ্গাপুরের বাণিজ্য সম্পর্ক  বিষয়ক দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী বাংলাদেশকে সিঙ্গাপুরের অকৃত্রিম বন্ধু উল্লেখ করে  বলেন, “বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুরের মধ্যে বিদ্যমান বাণিজ্য ঘাটতি পূরণ ও ব্যবসা বাণিজ্যে ভারসাম্য আনয়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশের সঙ্গে একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরের বিষয়ে সিঙ্গাপুর সরকার অঙ্গীকারাবদ্ধ। এছাড়াও বাংলাদেশের মানবসম্পদ উন্নয়নেও সিঙ্গাপুর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।”

সিঙ্গাপুরকে বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষ বিনিয়োগকারী দেশ উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, “বর্তমানে বাংলাদেশে জাহাজ শিল্প,  তৈরি পোশাক, ওষুধ, চামড়াজাত পণ্য, সিরামিক, পাটজাত পণ্য ও অন্যান্য সেক্টরে বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশ বিরাজ করছে। বৈদেশিক বিনিয়োগের সব প্রক্রিয়া এখন উন্মুক্ত ও স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন হচ্ছে।”

এ সময় উপদেষ্টা  বাংলাদেশে নির্মাণাধীন একমাত্র গভীর সমুদ্র বন্দর মাতারবাড়িতে আন্তর্জাতিক মানের একটি ডকইয়ার্ড/শিপইয়ার্ড নির্মাণে সিঙ্গাপুর সরকারকে বিনিয়োগের আহ্বান জানান।

এছাড়াও তিনি বাংলাদেশী নাবিকদের জন্য সিঙ্গাপুর সরকারকে ট্রানজিট বা ওয়ার্কিং ভিসা প্রদানের আহ্বান জানান। একইসঙ্গে বাংলাদেশি বন্দর ব্যবস্থাপনায় যেসব জনবল নিয়োজিত রয়েছে, তাদের আধুনিক ও উন্নতমানের প্রশিক্ষণ প্রদানের জন্য সিঙ্গাপুর সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।

বৈঠকে উভয় দেশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।