গাজীপুরের চন্দ্রায় ইলেকট্রনিক্স খাতে দেশের সেরা ব্র্যান্ড ওয়ালটনের হেডকোয়ার্টার্স পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউটের ৫০ সদস্যের প্রতিনিধি দল। তারা ওয়ালটন হেডকোয়ার্টার্সে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন অত্যাধুনিক প্রযুক্তির বিভিন্ন পণ্যের উৎপাদন কার্যক্রম সরেজমিনে প্রত্যক্ষ করেন। সেসময় তারা ইলেকট্রিক্যাল, ইলেকট্রনিক্স ও হাই-টেক পণ্য উৎপাদনে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন ও রপ্তানি কার্যক্রম সম্পর্কে সম্যক ধারণা ও অভিজ্ঞতা লাভ করেন।
শনিবার সকালে (১৯ জুলাই) ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিষদের সভাপতি স্থপতি অধ্যাপক আবু সাঈদ এম আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক স্থপতি ড. মাসুদ উর রশিদের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলটি গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন হেডকোয়ার্টার্সে পৌঁছালে তাদেরকে স্বাগত জানান ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি’র অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর ইউসুফ আলী, হেড অব অ্যাডমিন মেজর জাহিদুল হাসান (অব.) ও সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর স্থপতি সৈয়দ আব্দুল্লাহ রাজু।
উল্লেখ্য, স্থাপত্য বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রীধারীদের সংগঠনটি বাংলাদেশে স্থাপত্য পেশার মান উন্নত করতে সরকারের বিভিন্ন সংস্থা ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজ করে থাকে। এরই অংশ হিসেবে সংগঠনটির বর্তমান ২৬তম নির্বাহী পরিষদের সদস্যগণ ওয়ালটনের হেডকোয়ার্টার্স পরিদর্শন করেন।
হেডকোয়ার্টার্স প্রাঙ্গনে পৌঁছে অতিথিরা প্রথমে ওয়ালটনের বিভিন্ন পণ্যের উৎপাদন প্রক্রিয়ার ওপর নির্মিত ভিডিও ডক্যুমেন্টারি উপভোগ করেন। অনুষ্ঠানে অতিথিদের সামনে ওয়ালটন লিফট ও এয়ার কন্ডিশনারের বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেন যথাক্রমে ওয়ালটন লিফট এর চিফ বিজনেস অফিসার (সিবিও) জেনান উল ইসলাম, ডেপুটি সিবিও আহসান ফেরদৌস এবং ওয়ালটন কমার্শিয়াল এসির ডেপুটি সিবিও শামিম আক্তার মুগ্ধ।
এরপর তারা ওয়ালটনের তৈরি বিভিন্ন পণ্যে সুসজ্জিত ডিসপ্লে সেন্টার প্রত্যক্ষ করেন। পরে অতিথিরা দিনব্যাপী ওয়ালটনের সর্বাধুনিক প্রযুক্তির এয়ার কন্ডিশনার ও লিফট পণ্যের ম্যানুফ্যাকচারিং প্ল্যান্ট সরেজমিনে পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শন শেষে ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিষদের সভাপতি স্থপতি অধ্যাপক আবু সাঈদ এম আহমেদ বলেন, বাংলাদেশে যে এত উন্নতমানের ও সাজানো-গোছানো প্রোডাকশন প্ল্যান্ট থাকতে পারে, স্বশরীরে ওয়ালটনে না এলে আমরা বুঝতেই পারতাম না। ওয়ালটন কারখানায় ফ্রিজ, এসি, টিভি, কম্প্রেসর, ওয়াশিং মেশিন, লিফট থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিকমানের বিভিন্ন ইলেকট্রিক্যাল, ইলেকট্রনিক্স, হাউজহোল্ড অ্যাপ্লায়েন্স উৎপাদিত হচ্ছে। শুধু তাই নয় ওয়ালটন প্রায় সব ধরনের পণ্য ও যন্ত্রাংশ নিজেরাই তৈরি করছে। দেশের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি এসব পণ্যসামগ্রী বিদেশে রপ্তানি করে দেশের সুনাম অর্জন করছে। এভাবে বাংলাদেশের সামগ্রিক অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে ওয়ালটন।
সংগঠনের সহ-সভাপতি ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক সম্পাদক স্থপতি খান মো: মাহফুজুল হক জগলুল বলেন, ওয়ালটন হেডকোয়ার্টার্সে এসে আমাদের দেশীয় ইন্ডাস্ট্রি সম্পর্কে এক ব্যাপক ধারণা ও অভিজ্ঞতা লাভ করলাম। ওয়ালটনের এসি ও লিফট ম্যানুফ্যাকচারিং প্ল্যান্ট ঘুরে দেখে আমরা মুগ্ধ ও অভিভূত। এসি ও লিফটের মতো উচ্চ প্রযুক্তি সম্পন্ন পণ্য উৎপাদন করে ওয়ালটন যে অতি দক্ষতার পরিচয় দিচ্ছে তা সত্যি প্রশংসনীয়। তারা দেখিয়ে দিচ্ছে যে বাংলাদেশ কি পারে।