রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে যারা নিহত হয়েছে, তাদের মরদেহ দ্রুত পরিবারে কাছে হস্তান্তর করা হবে।
সোমবার (২১ জুলাই) প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রেস উইং থেকে বলা হয়েছে, রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে নিহতদের মধ্যে যাদের পরিচয় শনাক্ত করা যাবে, তাদের মৃতদেহ অতিসত্বর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এছাড়া যাদের পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে শনাক্ত করা যাবে না, তাদের মৃতদেহ ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে সনাক্ত করে পরবর্তীতে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
প্রেস উইং থেকে আরো বলা হয়েছে, আহতদের চিকিৎসার বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা সার্বক্ষণিক খোঁজখবর রাখছেন। চিকিৎসা কাজ নির্বিঘ্নে করার স্বার্থে হাসপাতাল এলাকায় অহেতুক ভিড় না করার জন্য সর্বসাধারণকে বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো।
সোমবার দুপুর ১টা ৬ মিনিটে বিমান বাহিনীর একটি ‘এফ-৭ বিজেআই’ প্রশিক্ষণ বিমান উড্ডয়নের পরপরই বিধ্বস্ত হয়। বিমানটি উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের স্কুল শাখার ভবনে আছড়ে পড়ে এবং তাতে আগুন ধরে যায়।
এ ঘটনার শুরুতে একজন নিহতের খবর পাওয়া গেলেও সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নিহতের সংখ্যাও বাড়তে থাকে। একপর্যায়ে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান সাংবাদিকদের বিমান দুর্ঘটনায় ১৬ জনের মৃত্যুর কথা জানান।
পরে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল ১৯ জন নিহত হয়েছে বলে জানান।
সর্বশেষ রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পাঠানো বিবৃতিতে তালিকাসহ ২০ জন নিহত ও ১৭১ জন আহত হয়েছেন বলে জানানো হয়।
তালিকা অনুযায়ী- কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে আহত আটজন, নিহত নেই; জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে আহত ৭০ জন, নিহত দুইজন; ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আহত তিনজন, নিহত একজন; সিএমএইচ-ঢাকা আহত ১৭ জন, নিহত ১২ জন; কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে আহত একজন, নিহত দুইজন; উত্তরার লুবনা জেনারেল হাসপাতাল অ্যান্ড কার্ডিয়াক সেন্টারে আহত ১১ জন, নিহত দুইজন; উত্তরা আধুনিক হাসপাতালে আহত ৬০ জন, নিহত একজন; উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতাল আহত একজন, নিহত নেই।