জাতীয়

শ্রমিকদের সড়ক জিম্মির খেলা বন্ধের আহ্বান যাত্রী কল্যাণ সমিতির

জাতিকে জিম্মি করে পুরোনো কায়দায় পরিবহন ধর্মঘট ডাকার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। সংগঠনটি বলছে, গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী নতুন নেতৃত্ব এলেও পরিবহন সেক্টরের চরিত্র বদলায়নি; বরং আগের মতোই আইন দুর্বল করা ও লক্কড়-ঝক্কড় গাড়ি রক্ষায় চাপ সৃষ্টির চেষ্টা চলছে।

রবিবার (১০ আগস্ট) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, পালিয়ে যাওয়া আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের অনুগত পরিবহন মালিক ও শ্রমিক নেতাদের পদাঙ্ক অনুসরণ করে নতুন নেতারাও একই পথে হাঁটছেন। ধর্মঘট ডেকে দেশের মানুষকে জিম্মি করার এই পুরোনো খেলা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।

তিনি অভিযোগ করেন, বিগত সরকার দীর্ঘদিন পরিবহন মালিক সমিতি ও শ্রমিক ফেডারেশনের স্বার্থেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যার ফলে সড়কে দুর্ঘটনা, নৈরাজ্য ও অরাজকতা বেড়েছে। ২০১৮ সালের সড়ক পরিবহন আইন প্রণয়নে এই নেতারা প্রভাব রেখেছিলেন, অথচ যাত্রী কল্যাণ সমিতি জনস্বার্থে সংশোধনী প্রস্তাব দিতে চাইলেও সুযোগ পায়নি।

বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ২০১১ সাল থেকে বারবার সিদ্ধান্ত হলেও সড়কে ২০ বছরের পুরোনো গাড়ি উচ্ছেদে বাস্তব অগ্রগতি হয়নি। এসব গাড়ি সড়ক দুর্ঘটনার বড় কারণ এবং দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করছে। অথচ নতুন নেতৃত্বও পুরোনো গাড়ি উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার ও সড়ক আইন দুর্বল করতে ধর্মঘটের পথ বেছে নিয়েছে।

মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, শহীদের রক্তে ভেজা নতুন বাংলাদেশে আইন ও শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার পরিবর্তে যদি আবারও জিম্মি কায়দার রাজনীতি ফিরে আসে, তাহলে যাত্রীদের দুর্ভোগের অবসান হবে না।

তিনি পরিবহন মালিকশ্রমিক সংগঠনগুলোর প্রতি আহ্বান জানান ধর্মঘট প্রত্যাহার করে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধান, সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, পুরোনো অচল গাড়ি সরিয়ে উন্নতমানের গণপরিবহন চালু করা এবং যাত্রী ও নাগরিক সমাজের প্রতি সংবেদনশীল আচরণ করার জন্য।