ইতিহাসের নির্মোহ চিত্র তুলে ধরার আহ্বান জানিয়েছেন সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
এমএজি ওসমানীকে মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক অ্যাখ্যায়িত করে তার জন্মদিনকে স্মরণ করে সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুর পৌনে ২টার দিকে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাসে তিনি এ আহ্বান জানান।
সেখানে তিনি লেখেন, ওসমানী বা জিয়াউর রহমানকে আমাদের ইন্টেলিজেন্সিয়া সেলিব্রেট করে না। একই ইন্টেলিজেন্সিয়া যারা অ্যাপারেন্টলি মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে, কিন্তু মাঠে যুদ্ধ করলো যারা, যুদ্ধের ঘোষণা দিল যারা তাদেরকে আমাদের ইতিহাসের পাতা থেকে যতোটা সম্ভব দুরে অথবা কম আলোকিত করে রাখা হয়েছে। আমাদের ইতিহাসের ওই ক্রিটিক্যাল প্রশ্নগুলো অ্যাড্রেস করা হয় নাই যে যুদ্ধ চলাকালীন ওসমানীর বক্তব্য কি ছিলো, উনার কি কোনো বিষয়ে ভিন্নমত ছিলো, ১৬ ডিসেম্বর উনি কেনো হাজির ছিলেন না, মুক্তিবাহিনী অথবা মিত্র বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ না করে কেনো ভারতীয় বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করানো হলো?”
তিনি লেখেন, “সময় এসেছে এরকম সব প্রশ্ন তোলার। শুধু প্রশ্নই না এই বিষয়ে ইতিহাসের সত্যগুলোও নির্মোহভাবে তুলে ধরার। সময় এসেছে পাকিস্তানিদের অত্যাচারের পাশাপাশি ৪৭ পূর্ববর্তী সময়ে ইতিহাসের বিভিন্ন বাঁকে বাংলাদেশের মানুষ যেসব অন্যায় অত্যাচারের মধ্য দিয়ে গেছে সেসব নির্মোহ তুলে ধরার। আমরা এই কাজটা শুরু করে যাবো। আমার বিশ্বাস পরবর্তী সরকার এসে কাজটা এগিয়ে নিয়ে যাবে। কারণ একটা জাতিকে শোষণ করার প্রথম ধাপ তার ইতিহাস-সংস্কৃতি নাই করে দেওয়া। অথবা শোষকের সুবিধামাফিক ইতিহাস তৈরি করে দেয়া।”
জেনারেল ওসমানীকে জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানিয়ে লেখেন, “মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন উনার কিছু ফুটেজ আমার চোখে লেগে আছে। তবে একটা শট আমার চোখে আজীবন লেগে থাকবে। জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর উনার কবরে দাঁড়িয়ে তাঁর স্যালুট। আ রেয়ার মোমেন্ট অব লাভ এন্ড রেসপেক্ট ফ্রম দ্য জেনারেল টু দ্য কমান্ডার।”