অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সম্প্রতি তাকে নিয়ে করা একটি গণমাধ্যমের প্রতিবেদন নিয়ে বলতে গিয়ে তথ্য উপস্থাপনের ক্ষেত্রে সততা ও বস্তুনিষ্ঠতা জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন।
বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে আসিফ মাহমুদ তার ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এমন মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, “প্রথম আলো যেটাকে বলছে ‘বিশেষ প্রকল্প’ এমন গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নের লক্ষ্যে জেলাভিত্তিক মোট প্রকল্প আছে ২০টি জেলায়। গত ১ বছরে মানিকগঞ্জ, কুমিল্লা, পটুয়াখালী, সাতক্ষীরা এই চারটি জেলায় নতুন প্রকল্প নেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ফলে এরূপ জেলাভিত্তিক প্রকল্পের সংখ্যা দাঁড়াবে ২৪টি। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের পলিসি অনুযায়ী পর্যায়ক্রমে জেলাভিত্তিক প্রকল্প নেওয়া হবে ৬৪ জেলাতেই।”
প্রশ্ন উত্থাপন করে আসিফ বলেন, “তাহলে বাকি ২২টি প্রকল্পের কথা উহ্য রেখে কেন এই ২ টাকেই বিশেষভাবে ফ্রেমিং করা হলো? স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর ‘উপজেলা সড়ক’ ক্যাটাগরি থেকে সর্বমোট কাঁচা ও পাকা সড়কের পরিমাণ বিবেচনায় প্রকল্প নেয়। শুধু এক ক্যাটাগরি দেখিয়ে ফ্রেমিং করা বস্তুনিষ্ঠ নয়। এছাড়াও বাকি সব জেলাই (২-৩ টি জেলা একসঙ্গে প্রকল্পে) কিংবা বিভাগীয় অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতাধীন। পর্যায়ক্রমে সব জেলার জন্য ইনডিভিজুয়াল প্রকল্প নেওয়ার কার্যক্রমের অংশ হিসেবেই গত এক বছরে ৪টি জেলা যুক্ত হলো।”
এ সময় বাকি জেলাগুলোতেও ইনডিভিজুয়াল প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত হতে থাকবে জানিয়ে সবাইকে ধন্যবাদ জানান উপদেষ্টা।