চলতি বছরের মতোই আগামী ২০২৬ সালে পবিত্র ঈদুল ফিতরে পাঁচদিন, ঈদুল আজহায় ছয়দিন এবং শারদীয় দুর্গাপূজায় দুইদিন সরকারি ছুটি থাকবে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, চলতি বছরের মতো আগামী বছরও ঈদুল ফিতরে পাঁচদিন, ঈদুল আজহায় ছয়দিন এবং শারদীয় দুর্গাপূজায় দুইদিন ছুটি থাকবে। এ প্রস্তাব উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে অনুমোদন পেয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যেই প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।
তিনি আরও জানান, চলতি বছর ঈদের দীর্ঘ ছুটিতে বাড়িতে যাওয়া স্বস্তিদায়ক ছিল এবং দুর্ঘটনাও তুলনামূলকভাবে কম হয়েছিল। সেই ইতিবাচক অভিজ্ঞতার কারণেই আগামী বছরের ছুটির কাঠামো অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।
সূত্রমতে, আগামী বছর ঈদুল ফিতরের মূল দিনসহ আগের দুই দিন ও পরের দুই দিন মিলিয়ে মোট পাঁচদিনের ছুটি থাকবে। ঈদুল আজহার মূল দিন, আগে দুই দিন ও পরে তিন দিনসহ মোট ছয়দিনের ছুটি নির্ধারণ করা হয়েছে।
অন্যদিকে শারদীয় দুর্গাপূজার জন্য মহানবমী ও বিজয়া দশমী উপলক্ষে দুইদিন ছুটি থাকবে। দুই ঈদের মূল দিন ও বিজয়া দশমীর দিন সাধারণ ছুটি হিসেবে গণ্য হবে, আর আগের বা পরের দিনগুলো নির্বাহী আদেশে ছুটি হিসেবে ঘোষণা করা হবে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রজ্ঞাপন জারি হওয়ার পর ছুটির তালিকা মন্ত্রণালয় ও বিভাগীয় দপ্তরগুলোতে পাঠানো হবে, যাতে সরকারি ও বেসরকারি দপ্তরসমূহ সময়মতো বার্ষিক কার্যসূচি নির্ধারণ করতে পারে।
উল্লেখ্য, গত ৬ নভেম্বর প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ২০২৬ সালের সরকারি ছুটির তালিকার অনুমোদন দেন উপদেষ্টা পরিষদ। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বিষয়টি জানান।
সে অনুযায়ী আগামী বছর সাধারণ ছুটি ও নির্বাহী আদেশ মিলিয়ে মোট ২৮ দিন ছুটি থাকবে। এর মধ্যে ৯ দিন শুক্রবার ও শনিবারের সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে মিলে যাবে।