মহান বিজয়ের মাসে নতুন প্রজন্মে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছড়িয়ে দিতে এবং জ্ঞানভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গঠনের লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ‘বিজয় বইমেলা-২০২৫’। বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির (বাপুস) উদ্যোগে বাংলা একাডেমি মাঠে আগামী ১০ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়ে এই মেলা চলবে ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
আজ বৃহস্পতিবার বাংলা একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলন করে বাপুস থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
আয়োজকরা জানিয়েছেন, এটি কেবল বই কেনা-বেচার কোনো সাধারণ বাণিজ্যিক আয়োজন নয়; বরং এটি জাতির বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশ ও মননশীলতা তৈরির পদক্ষেপ। এবারের মেলায় দেশের প্রায় ২০০ প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান অংশ নেবে। এ ছাড়াও থাকবে শিশুদের জন্য বিশেষ আয়োজন, মুক্তিযুদ্ধের তথ্যচিত্র প্রদর্শন, ঐতিহ্যবাহী সংগীত এবং লেখক-পাঠকের সরাসরি মত বিনিময়।
সংবাদ সম্মেলনে বাপুস দেশের প্রকাশনা শিল্প ও পাঠক সৃষ্টি নিয়ে তাদের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার কথা তুলে ধরে। এ সময় তারা ২০২৬ সালে দেশের ৬৪ জেলায় এবং বিভিন্ন স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে বইমেলা আয়োজনের ঘোষণা দেয়। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের সাহিত্য ও সংস্কৃতি তুলে ধরতে ২০২৬ সালের মে মাসে ‘ইন্টারন্যাশনাল চিলড্রেনস বুক ফেয়ার’ এবং ‘সাউথ-ইস্ট এশিয়া ইন্টারন্যাশনাল বুক ফেয়ার’ আয়োজনের কথা জানায়।
মেলার সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতিদিন দুপুর ২টা থেকে রাত ৮টা এবং ছুটির দিন সকাল ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিজয় বইমেলা উদযাপন কমিটির যুগ্ম সমন্বয়কারী রাজ্জাক রুবেল। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান সমন্বয়কারী আবুল বাশার ফিরোজ।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সহ-সমন্বয়ক কাউছার আহম্মেদ, সদস্য সাবা খালেদ প্রমুখ।