জাতীয়

নির্বাচনের তফসিল চূড়ান্তে বৈঠকে ইসি 

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও একই দিনে গণভোটের তফসিল চূড়ান্ত করতে বৈঠকে বসছে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

রবিবার (৭ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে এ বৈঠক শুরু হয়। এতে চার নির্বাচন কমিশনার এবং ইসি সচিব উপস্থিত আছেন। 

ইসি সূত্র জানায়, ভোটগ্রহণের সময় এক ঘণ্টা বাড়ানোর প্রস্তাবসহ মনোনয়নপত্র দাখিল, বাছাই, প্রত্যাহার এবং ভোটের তারিখ–সময়সূচি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে। এর পাশাপাশি পোস্টাল ভোটিংয়ের ব্যালট পেপার আনা-নেওয়ার সময়সূচি, মাঠপর্যায়ের প্রশাসনিক অগ্রগতি এবং প্রস্তুতির খুঁটিনাটি বিষয়ও পর্যালোচনা করবে কমিশন।

এরই মধ্যে ভোট আয়োজনকে কেন্দ্র করে জেলা প্রশাসক (ডিসি), উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও পুলিশ প্রশাসনে বড় ধরনের রদবদল করা হয়েছে। তফসিল ঘোষণার পর প্রয়োজন হলে আরো পরিবর্তন আনা হতে পারে বলে জানিয়েছে ইসি।

প্রথা অনুযায়ী, নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতির বিষয়ে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করতে ১০ ডিসেম্বর কমিশনের সদস্যরা বঙ্গভবনে সৌজন্য সাক্ষাতে যাবেন। সেই বৈঠকের পর শিগগিরই তফসিল ঘোষণা করা হবে বলে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে। ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহেই তফসিল ঘোষণার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে একই দিনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং গণভোট অনুষ্ঠিত হবে।

নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার সাংবাদিকদের বলেন, “কমিশন সভায় তফসিলের সময়সূচি চূড়ান্ত হবে। এরপর রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ঘোষণার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।”

তিনি জানান, তফসিল ঘোষণা করা মাত্রই কোনো কর্মকর্তা রিটার্নিং অফিসার এবং সহকারী রিটার্নিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন সেটিও প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে।

এবার ভোট প্রক্রিয়া, আইন ও বিধিমালায় নানা ধরনের সংস্কারের দাবি উঠেছে। এসব বিষয়ে কঠোর অবস্থান নিয়ে শতভাগ আইনমান নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া হবে বলে জানান তিনি। একই সঙ্গে প্রার্থী, রাজনৈতিক দল এবং ভোটারসহ সব অংশীজনের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।

গত ৭ জানুয়ারি ২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছিল দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। পরে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর রাষ্ট্র সংস্কারের লক্ষ্য নিয়ে অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করে। ওই সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন।

প্রথমবারের মতো প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য পোস্টাল ভোটিংয়ের সুযোগ রাখা হয়েছে। এ ব্যবস্থার প্রস্তুতি পদ্ধতি চূড়ান্ত করতেও আজকের বৈঠক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।