জাতীয়

‘স্কুলিং পদ্ধতি’ বাদ দেওয়ার দাবিতে শাহবাগে শিক্ষার্থীরা

প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি অধ্যাদেশের খসড়া থেকে ‘স্কুলিং পদ্ধতি’ বাদ দেওয়ার দাবিতে শাহবাগে সড়ক অবরোধ করেন পাঁচ কলেজের শিক্ষার্থীরা। 

রবিবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুর পৌনে ১২টার দিকে সড়ক অবরোধ করেন ঢাকা কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, মিরপুর বাঙলা কলেজের শিক্ষার্থীরা। প্রায় পৌনে ১ ঘণ্টা পর তারা সড়ক ছাড়েন।

এসময় শিক্ষার্থীরা ‘তুমি কে আমি কে, ইন্টার ইন্টার,’ ‘স্কুলিং পদ্ধতি বাতিল করো করতে হবে, আমাদের দাবি মানতে হবে মেনে নেও’ এমন স্লোগান দেন। 

সড়ক অবরোধের কারণে কিছু সময় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে সৃষ্টি হয় যানজট। ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ যাত্রীরা। ঘটনাস্থলে সতর্ক অবস্থানে ছিলেন পুলিশ সদস্যরা। 

ঘটনাস্থল থেকে ঢাকা কলেজের উচ্চ মাধ্যমিকের মানবিকের শিক্ষার্থী নুরুজ সাফা বলেন, “আমাদের পরিচিতি আর স্বকীয়তা নতুন এই স্কুলিং মডেলের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। আমাদের ভবিষ্যৎ ও পরিচয় রক্ষার স্বার্থেই আমরা শান্তিপূর্ণভাবে দাবি জানাতে রাস্তায় নেমেছি।”

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে সরকার ঢাকার সাত কলেজকে নিয়ে ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি গঠনের প্রক্রিয়া গুছিয়ে এনেছে। তবে এ নিয়ে কলেজগুলোর স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা, উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছেন। 

গত ২৪ সেপ্টেম্বর ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাদেশের খসড়া প্রকাশ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। খসড়ায় সাতটি কলেজকে চারটি স্কুলে বিভক্ত করে ‘ইন্টারডিসিপ্লিনারি’ কাঠামোতে বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রস্তাবনা অনুযায়ী কলেজগুলোর উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের পাঠদানও চালু থাকবে।

এমন পরিস্থিতিতে শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তারা সাতটি কলেজের দেড় হাজার পদ ক্যাডারের বাইরে চলে যাবে বলে শঙ্কায় আছেন। পদ খালি থাকার শর্তে পদোন্নতি পাওয়া শিক্ষা ক্যাডারে দেড় হাজার পদ একেবার বের হয়ে গেলে পদোন্নতি নিয়ে জটিলতার সৃষ্টির আশঙ্কা করছেন তাঁরা। 

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলছেন, “আমরা সবাই সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি চাই। আমরা কেউই তার বিরোধিতা করছি না। আমরা বিরোধিতা করছি স্কুলিং কাঠামোর।”