ঢাকার বনানীতে ছাত্রলীগ নেত্রীকে ধর্ষণ করে রাস্তার পাশে ড্রেনে ফেলে যাওয়ার যে ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানো হয়েছে, সেটি ভুয়া।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং ফ্যাাক্ট চেকের ফেসবুক পেজের পোস্টটি সোমবার (৮ ডিসেম্বর) রাতে শেয়ার করেছেন প্রেস সচিব শফিকুল আলম। মূল পোস্টে ওই ভিডিওর ছবি পোস্ট করে লেখা হয়েছে, এই ঘটনা বাংলাদেশেরই নয়, এটি ভারত থেকে পরিচালিত একটি ইউটিউব চ্যানেলের ভিডিও।
প্রেস উইং ফ্যাক্ট চেকের পোস্ট হুবহু তুলে ধরা হলো: সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও শেয়ার করে দাবি করা হচ্ছে, ঢাকার বনানীতে ছাত্রলীগ নেত্রীকে ধর্ষণ করে রাস্তার পাশে ড্রেনে ফেলে যায় তিন সন্ত্রাসী। ভিডিওটিতে দেখা যায়, রাস্তার পাশে একজন তরুণী পড়ে আছে, তার কাছেই পড়ে আছে জুতা এবং পানির বোতল।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, দাবিটি সত্য নয়। মূল ভিডিওটি ‘ওমা মেজেম’ নামক ভারতীয় একটি ইউটিউব চ্যানেলে গত ৩ ডিসেম্বর প্রকাশিত হয়েছে। একটি সাজানো ভিডিওকে প্রচার করা হচ্ছে ধর্ষণ-পরবর্তী ভিডিও বলে।
অনুসন্ধানের শুরুতে ভিডিওটির বিভিন্ন কি-ফ্রেমের সাহায্যে রিভার্স ইমেজ সার্চে ইউটিউবের একটি লিংক পাওয়া যায়। ‘ওমা মেজেম’ নামের একটি ইউটিউব চ্যানেল থেকে ৩ ডিসেম্বর প্রকাশিত ভিডিওর সাথে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটির ব্যাকগ্রাউন্ডের কথা ছাড়া বাকি দৃশ্যের হুবহু মিল পাওয়া যায়। এই ভিডিওর ক্যাপশনে লেখা- ‘#shorts #comedy #funny #bodocomedy’। ক্যাপশন থেকে বোঝা যায়, এটি কমেডি ধারার ভিডিও। দেখুন: https://www.youtube.com/shorts/XML5_4O6ez8
চ্যানেলটি যাচাই করে ওই নারীর একাধিক ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। বেশির ভাগ ভিডিও মজার ছলে তৈরি। ইউটিউবে ওই চ্যানেলের বিবরণ সেকশনে গিয়ে দেখা যায়, @Bodo_credit ইউজার নাম দিয়ে চলতি বছরের ২১ মে চ্যানেলটি খোলা হয়েছে। ভারত থেকে চ্যানেলটি তাদের কন্টেন্ট কার্যক্রম পরিচালনা করছে। অর্থাৎ, ভিডিওর সঙ্গে ছাত্রলীগ নেত্রীকে ধর্ষণের দাবিটি সঠিক নয়।
অন্যদিকে, সংবাদমাধ্যম যাচাই করে, সম্প্রতি বনানীতে ছাত্রলীগ নেত্রীকে ধর্ষণের কোনো অভিযোগ বা এ-সংক্রান্ত কোনো প্রতিবেদন পাওয়া যায়নি।