ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণখেলাপি, পাশাপাশি গ্যাস-পানি-বিদ্যুৎসহ সরকারি বিল বকেয়া থাকলে কোনো প্রার্থীই আসন্ন নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।
শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশন (ইসি) এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সংবিধান এবং গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ধারা অনুযায়ী প্রার্থীর যোগ্যতা-অযোগ্যতার বিষয়গুলো নির্ধারিত। এসব বিধান অনুসারে, কোনো প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিলের আগ পর্যন্ত ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে নেওয়া ঋণের কোনো কিস্তি পরিশোধে ব্যর্থ হলে তিনি নির্বাচনে অযোগ্য গণ্য হবেন।
তবে কৃষিকাজের উদ্দেশ্যে নেওয়া ক্ষুদ্র কৃষি ঋণকে এই শর্তের বাইরে রাখা হয়েছে। কৃষি ঋণ ছাড়া যে কোনো ঋণের কিস্তি বকেয়া থাকলে প্রার্থিতা বাতিল হবে বলে ইসি জানিয়েছে।
এ ছাড়া সরকারি টেলিফোন, গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি বা অন্যান্য সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের বিল পরিশোধে বকেয়া থাকলেও মনোনয়ন গ্রহণযোগ্য হবে না। মনোনয়নপত্রের সঙ্গে এসব তথ্য উল্লেখ করে প্রার্থীর স্বাক্ষরিত হলফনামা দাখিল বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
ইসি জানায়, বিষয়টি স্থানীয়ভাবে ব্যাপক প্রচারের ব্যবস্থা করতে হবে এবং কমিশন নিজেও কেন্দ্রীয়ভাবে জনসচেতনতামূলক প্রচার চালাবে।
অন্যদিকে, লাভজনক পদে অধিষ্ঠিত ব্যক্তিদের নির্বাচন করার অযোগ্যতার বিষয়টিও প্রজ্ঞাপনে পুনর্ব্যক্ত করা হয়েছে। অর্থাৎ প্রজাতন্ত্র বা সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষ কিংবা সরকারের মালিকানায় ৫০ শতাংশের বেশি শেয়ার রয়েছে এমন কোনো প্রতিষ্ঠানের পদে কর্মরত কেউ পদত্যাগ না করে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।