বাংলাদেশের গ্রামীণ অর্থনীতি, জীববৈচিত্র্য ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবিকা রক্ষায় জলমহাল একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রাকৃতিক সম্পদ। পটুয়াখালী জেলায় মোট ১৪৮টি জলমহালের মধ্যে ৪৪টি জনস্বার্থে ইজারাযোগ্য নয় বলে জানিয়েছেন ভূমি উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) ভূমি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সিনিয়র সচিব এএসএম সালেহ আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ‘উন্নয়ন প্রকল্পে সরকারি জলমহাল ইজারা প্রদান সংক্রান্ত কমিটির ৮৮তম সভায় তিনি এসব তথ্য জানান।
উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বলেন, “জলমহাল কেবল মাছ উৎপাদনের উৎস নয়; এটি স্থানীয় কৃষিকাজ, খাদ্য নিরাপত্তা, কর্মসংস্থান এবং পরিবেশগত ভারসাম্যের সঙ্গে ওতঃপ্রোতভাবে জড়িত। পটুয়াখালীর এসব জলমহালের পানি প্রবাহমান, স্লুইজ গেট ও বাঁধ রয়েছে, যা জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারগণ সুনিয়ন্ত্রিত রাখবেন। ইজারা বাতিল হওয়া জলমহাল থেকে কেউই মাছ ধরতে বা সেচের জন্য পানি নিতে পারবেন। এখানে কোনো ধরনের পেশি শক্তির প্রভাব গ্রহণযোগ্য নয়।”
তিনি আরো বলেন, “জলমহাল ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়, এটি জনগণের। জনস্বার্থ, পরিবেশ সংরক্ষণ ও দরিদ্র মানুষের জীবিকা রক্ষার স্বার্থে ইজারা ব্যবস্থা বন্ধ করে একটি মানবিক, ন্যায়ভিত্তিক ও টেকসই ব্যবস্থাপনার দিকে এগোতে হবে। আগামী তিন বছর এই প্রক্রিয়া মনিটরিং করা হবে।”
সভায় অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) মোঃ রায়হান কাওছার, অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মোঃ এমদাদুল হক চৌধুরী, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনার অনলাইনে যুক্ত ছিলেন।
সভাপরবর্তী আলোচনা সভায় ‘হাওর ও জলাভূমি সংরক্ষণ আইন’ বিষয়েও কথা বলেন ভূমি উপদেষ্টা, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং প্রাথমিক গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার।