জাতীয় দৈনিক ‘প্রথম আলো’র শেষ খবর প্রকাশিত হয় আট ঘণ্টা আগে বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে।
পত্রিকাটির শেষ খবরের শিরোনাম ছিল, ‘জাতির উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টার ভাষণ, ওসমান হাদির মৃত্যুতে শনিবার রাষ্ট্রীয় শোক’ এই শিরোনাম।
সিঙ্গাপুর থেকে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যু খবর আসার পর বৃহস্পতিবার রাতেই জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তখন রাজপথে নামা শুরু করে জুলাই অভ্যুত্থানের ছাত্র-জনতা, হাদির ভক্ত-সমর্থক, সহযোদ্ধা ও সমভাবাপন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন।
মিছিল নিয়ে দলে দলে মানুষ রাজধানীর শাহবাগে জড়ো হতে থাকে। সেখান থেকে কারওয়ান বাজার ও ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের দিকে রওনা হয় বিক্ষুব্ধ জনতা। রাত সাড়ে ১১টার দিকে প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার পত্রিকার সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তারা। পৌনে ১২টা নাগাদ প্রথম আলো অফিসে হামলা শুরু হয়। ভাঙচুরের মধ্যে প্রথম আলোর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান প্রথমা প্রকাশনীতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
তখন থমকে যায় প্রথম আলো অফিসের কর্মযজ্ঞ। আতঙ্কিত সংবাদকর্মীরা জীবন বাঁচাতে হুড়োহুড়ি শুরু করেন। সেখানে হাজির হন নিউ এইজ সম্পাদক ও সম্পাদক পরিষদের সভাপতি নূরুল কবীর। সেখানে তিনি নাজেহান হন। অবশ্য সংবাদকর্মীদের বের আনতে সক্ষম হন ও তার সঙ্গীরা। তবে আর কোনো খবর প্রকাশ করেনি প্রথম আলো।
গত আট ঘণ্টায় প্রথম আলোর শেষ খরবটি প্রধান উপদেষ্টার জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণ নিয়েই।
প্রথম আলোর অফিসের আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও সকাল পর্যন্ত কালো ধোয়ার কুণ্ডলী বের হতে দেখা যায়। পুড়ে খাক হয়ে গেছে কার্যালয়টি।
ইংরেজি দৈনিক ‘ডেইলি স্টার’ বৃহস্পতিবার রাত ১০টা ৫৪ মিনিটে ওসমান হাদির মৃত্যুতে জামায়াত, বিএনপি ও অন্যান্য দলের শোকবার্তা নিয়ে শেষ খবরটি প্রকাশ করে। ক্ষোভের আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে এই পত্রিকাটিও।