জাতীয়

শাহবাগে বিক্ষোভ চলছে

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই শাহবাগ মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন উত্তেজিত ছাত্র-জনতা। বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুরু হওয়া বিক্ষোভ শুক্রবার সকালেও চলছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শাহবাগে বাড়ছে ছাত্র-জনতার উপস্থিতি।

শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সকালে শাহবাগে গিয়ে দেখা যায়, ‘জ্বালো জ্বালো, আগুন জ্বালো’, ‘রক্তের বন্যায় ভেসে যাবে অন্যায়’, ‘গোলামি না আজাদী, আজাদি-আজাদি’, ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা-ঢাকা’, ‘ভারতের দালালেরা, হুঁশিয়ার সাবধান’, ‘আমরা সবাই হাদি হব, জুগে জুগে লড়ে যাব’সহ নানান স্লোগান দিচ্ছেন। 

এর আগে, গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে বিক্ষোভ শুরু হয়। তারা আওয়ামী লীগ ও ভারতীয় আধিপত্যবাদের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন। ব্যর্থতার দায় নিয়ে অবিলম্বে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবি জানান তারা। ছাত্রজনতার সঙ্গে এক কাতারে শামিল হন জুলাই অভ্যুত্থানের নেতা নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, মাহফুজ আলমরাও। 

এছাড়া, হাদির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই বৃহস্পতিবার রাতে প্রতিবাদে জেগে ওঠে দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর সবার আগে রাস্তায় নেমে আসে। মিছিল নিয়ে তারা শাহবাগে আসে। এছাড়া, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, জাহাঙ্গীরনগর, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন ক্যাম্পাস ‘আমরা সবাই হাদি হবো’ স্লোগেন উত্তাল হয়ে ওঠে। সেই সঙ্গে ফ্যাসিবাদ ও ভারতবিরোধী স্লোগানে গর্জে ওঠে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। 

এছাড়া, দৈনিক প্রথম আলো, ডেইলি স্টার, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবের বাড়ি ও ছায়ানট সংস্কৃতি ভবনে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। চট্টগ্রাম, রাজশাহীসহ আরো অনেক এলাকায় বিভিন্ন স্থানে হামলার ঘটনা ঘটেছে। চট্টগ্রামে দুই সাবেক মন্ত্রীর বাড়িতে আগুন দেওয়ার খবর পাওয়া গেছে। গুড়িয়ে দেওয়া হয় রাজশাহীতে আওয়ামী লীগের পার্টি অফিস।