ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান বিন হাদির উপর গুলিবর্ষণকারী দুর্বৃত্তদের গ্রেপ্তার করতে না পারা, ইনকিলাব মঞ্চের আলটিমেটাম ও হাদির মৃত্যুর পর প্রথম আলো, ডেইলি স্টারসহ বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, লুটপাটের ঘটনায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা পদত্যাগের দাবি ওঠে। এর পরিপ্রেক্ষিতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর পদত্যাগের গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। তবে এ বিষয়ে কোনো তথ্য নেই বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ।
মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
বিকেলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে ক্রয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে যাওয়ার আগে উপদেষ্টা পরিষদ পুর্নগঠনের গুঞ্জনের বিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে সচিব বলেন, ‘‘এমন কোনো তথ্য আমার জানা নেই।’’
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা পদে আর থাকছেন না এমন গুঞ্জনের মধ্যেই গত রবিবার সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর বৈঠকে অংশ নেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির ১৮তম সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে তিনি কথা বলেন। এ সময় পদত্যাগের গুঞ্জনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘‘পদত্যাগ করলে এখানে বসতাম না।’’
মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) সারাদিন উপদেষ্টা পরিষদের গুরুত্বপূর্ণ পদে রদবদল; বিশেষ করে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগের বিষয়টি শোনা গেলেও মন্ত্রিপরিষদ সচিবের বক্তব্যে সেটা আর হচ্ছে না বলেই ধরে নেওয়া যায়। বরং এই পদে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর উপরই আস্থা রাখছে সরকার। তাকে দিয়েই নির্বাচন শেষ করতে চায়। এই মুহূর্তে নতুন কাউকে দিয়ে নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা ঠিক রাখা সম্ভব নয় বলেও মনে করছেন সরকারের নীতি নির্ধারণী মহল। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তিনি সততার সঙ্গে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছেন বলেও জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেনকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার দায়িত্ব দেওয়া হয়। নয়দিন পর তাকে সরিয়ে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার দায়িত্ব দেন প্রধান উপদেষ্টা।