জাতীয়

নিজেদের মধ্যে ঠেলাধাক্কায় বিএনপির শ্রদ্ধা নিবেদন!

সাফিউল ইসলাম সাকিব, সাভার: স্লোগান দিতে দিতে শহীদ বেদির দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন বিএনপি নেতারা। শুরু থেকেই প্রচণ্ড ঠেলাঠেলি। সিনিয়র নেতারাও সামনের কাতারে টিকতে পারছিলেন না ধাক্কার জোরে। কাকে ঠেলে কে থাকবেন সামনের কাতারে এই প্রতিযোগিতা যেন। এক পর্যায়ে স্থানীয় বিএনপি নেতা-কর্মীরাই দখল করে নিলেন সামনের কাতার। হাতাহাতি আর টানাটানির ফলে শহীদ বেদির কাছে গিয়ে ফুলের ডালা ভেঙ্গে দুই টুকরো হয়ে গেলো। তারপর কোন রকমে সেই ভাঙ্গা ডালায় ফুল অর্পন করে আনুষ্ঠানিক শ্রদ্ধা নিবেদনের পর্বটি শেষ করতে হল বিএনপির সিনিয়র নেতাদের। মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খাঁনের নেতৃত্বে এভাবেই জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি। শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে মঈন খাঁন নিজেও হয়েছেন নাজেহাল। স্থানীয় নেতাকর্মীদের ঠেলাঠেলির ফলে শহীদ বেদিতে যাওয়ার আগেই তাকে পড়তে হয়েছে পেছনের কাতারে। শহীদ বেদিতে পূষ্পার্ঘ অর্পনের সময় খানিক পিছন থেকে হাত বাড়িয়ে অংশ নেন তিনি। বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া না আসায় সকাল ৮টায় দলের পক্ষ থেকে শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে স্মৃতিসৌধে উপস্থিত হন দলের স্থায়ী কমিটির এই সদস্য। পরে ৮টা ২০ মিনিটে শহীদ বেদিতে অর্পন করা হয় দুই টুকরো হয়ে যাওয়া ডালায় ফুল। এসময় স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য লে. জেনারেল (অব) মাহবুবুর রহমান, নির্বাহী কমিটির সদস্য সামা ওবায়েদ ছাড়া দলের নীতি নির্ধারক পর্যায়ের অন্য কোন নেতাকে দেখা যায়নি। শহীদ বেদি থেকে ফিরে যাওয়ার সময় গণমাধ্যম কর্মীরা জানতে চাইলে ড. মঈন খাঁন বলেন, ‘দেশের প্রতিটি নাগরিক বুঝতে পেরেছেন খালেদা জিয়া কেন স্মৃতিসৌধে আসেননি। প্রতিবছর তিনি স্মৃতিসৌধে উপস্থিত হয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। কিন্তু বর্তমানে দেশে একদলীয় ও বাকশালী গণতন্ত্র চলছে। মানুষ নিজের ইচ্ছেমত চলাফেরা করতে পারে না, মত প্রকাশের স্বাধীনতা নেই। তাই এদেশের মানুষকে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে আবার ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।’  

   

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৬ মার্চ ২০১৫/সাফিউল ইসলাম/শাহনেওয়াজ