জাতীয়

রংপুর ক্যান্টনমেন্ট ঘেরাও দিবস

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর : আজ ২৮ মার্চ রংপুর ক্যান্টনমেন্ট ঘেরাও দিবস। ১৯৭১ সালের এ দিনে পাক হানাদার বাহিনীর উত্তরাঞ্চলীয় গোলন্দাজ বাহিনীর প্রধান সেনা ঘাটি রংপুর ক্যান্টনমেন্ট তীর-ধনুক, লাঠিসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ঘেরাও করতে গিয়ে পাক বাহিনীর  বেপরোয়া গুলি বর্ষণে নিহত হন প্রায় তিন হাজার সাধারণ মানুষ।

 

স্বাধীনতার ৪৫  বছরেও সেদিনের সেই শহীদ পরিবারগুলো পায়নি কোনো রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি কিংবা কোনো সহায়তা। আজও রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন করা হয় না দিনটি।

 

রংপুর নগরীর নিসবেগজ্ঞ উপশহর এলাকার আহাদ আলী ১৯৭১ সালের ২৮ মার্চ রংপুর ক্যান্টনমেন্ট দখল করতে গিয়ে পাক বাহিনীর বেপরোয়া গুলি বর্ষণে আহত হন। পরে গভীর রাতে ক্যান্টনমেন্টের পাশে আহাদ আলীর মতো আহত আরো প্রায় ৫০০ জনকে পেট্রোল ঢেলে পুড়িয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে পাক বাহিনী।

                                                      সেদিনের যুদ্ধে অগ্রণি যোদ্ধা শেখ আমজাদ হোসেন (ছবি : বাদল)

 

স্বাধীনতার ৪৫ বছরেও শহীদ পরিবারের স্বীকৃতি মেলেনি আহাদ আলীর পরিবারের। তার ছেলে শরফুদ্দিনসহ স্বজনদের দিন কাটে এখন অনাহারে অর্ধাহারে। আহাদ আলীর মতো অনেক পরিবার এখন মানবেতরভাবে দিন কাটাচ্ছে।

ক্যান্টনমেন্ট ঘেরাও আন্দোলনের সেদিনের অগ্রণি যোদ্ধা প্রাক্তন আওয়ামী লীগ নেতা শেখ আমজাদ হোসেন জানান, দীর্ঘ ৪৬ বছরেও তিনি কোনো স্বীকৃতি পাননি। এই বীর যোদ্ধা এখন অর্থের অভাবে নিজের চিকিৎসা করাতে পারছেন না। মৃত্যুর আগে সেদিনের সেই শুধু স্বীকৃতিটুকু পেতে চান এই যোদ্ধা।

 

ক্যান্টনমেন্ট ঘেরাও আন্দোলনের সম্মুখ যোদ্ধা মুক্তিযোদ্ধা মজিবর রহমান মাস্টার বলেন, ‘স্বাধীনতা সংগ্রামে তীর ধনুক দিয়ে ক্যান্টমেন্ট দখল করার মতো দুঃসাহসিক অভিযানে শাহাদত বরনকারী হাজার হাজার মানুষের আত্মত্যাগ এ দিনটিকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় পালনের জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি। পাশাপাশি এই  আন্দোলনে আহত এবং নিহতের পরিবারে পাশে দাঁড়াতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি অনুরোধ করছি।’

     

রাইজিংবিডি/রংপুর/২৮ মার্চ ২০১৫/জাহাঙ্গীর আলম বাদল/সনি