জাতীয় ক্রিকেট লিগ ২০১৮-২০১৯

মিজানুরের সেঞ্চুরি, অপেক্ষায় জহুরুল

ক্রীড়া প্রতিবেদক : প্রথম দিনে ফিফটি তুলে নিয়ে অপরাজিত ছিলেন। আজ দ্বিতীয় দিনে সেটিকে সেঞ্চুরিতে রূপ দিয়েছেন মিজানুর রহমান। সেঞ্চুরির অপেক্ষায় আছেন জহুরুল ইসলামও। তাদের ব্যাটে চড়ে ওয়ালটন জাতীয় ক্রিকেট লিগে খুলনার বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে লিড নিয়েছে রাজশাহী বিভাগ। প্রথম স্তরের এই ম্যাচে তুষার ইমরানের সেঞ্চুরির পরও প্রথম দিনে খুলনা গুটিয়ে গিয়েছিল ২১০ রানেই। আজ দ্বিতীয় দিন শেষে রাজশাহীর সংগ্রহ ৬ উইকেটে ৪৪৬ রান। ২৩৬ রানে এগিয়ে আছে রাজশাহী। রাজশাহীতে ১ উইকেটে ১২২ রান নিয়ে আজ দ্বিতীয় দিন শুরু করেছিল স্বাগতিকরা। মিজানুর ৭৪ ও জুনায়েদ সিদ্দিক ১ রান নিয়ে ব্যাটিং শুরু করেন।  

তবে জুনায়েদ ফিরেছেন দিনের দ্বিতীয় ওভারেই। আফিফ হোসেনের বলে নাহিদুল ইসলামের ক্যাচ হওয়ার আগে করেছেন ৪ রান। এরপর তৃতীয় উইকেটে ফরহাদ হোসেনের সঙ্গে ৮৯ রানের জুটি গড়ার পথে সেঞ্চুরি তুলে নেন মিজানুর। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এটি তার দশম সেঞ্চুরি। সেঞ্চুরির পর অবশ্য ইনিংস আর বড় করতে পারেননি মিজানুর। স্পিনার আব্দুর রাজ্জাকের বলে আউট হওয়ার আগে ১৪৫ বলে ১৬ চার ও ২ ছক্কায় ১১৫ রান করেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। সেঞ্চুরির সুযোগ ছিল ফরহাদের সামনেও। কিন্তু ৮৩ রান করে নাহিদুলের বলে আউট হয়ে যান তিনি। ১২৭ বলে ১১ চার ও এক ছক্কায় ইনিংসটি সাজান ফরহাদ। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ঘরোয়া ক্রিকেটে ফেরা সাব্বির রহমান উইকেটে থিতু হয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি। ৫২ বলে ৬ চারে তিনি করেছেন ৩৩ রান। আল-আমিন হোসেনের বলে উইকেটরক্ষক নুরুল হাসানের গ্লাভসে ধরা পড়েন সাব্বির।  

ইনিংস বড় করতে পারেননি ফরহাদ রেজাও (২৫)। দলীয় ৩৭৪ রানে রেজা ষষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে ফেরার পর দিনের বাকি সময়ে আর কোনো উইকেট পড়তে দেননি জহুরুল ও সানজামুল ইসলাম। সপ্তম উইকেটে ৭২ রানের জুটিতে অবিচ্ছিন্ন আছেন এই দুজন। জহুরুল ১৯৯ বলে ১০ চারে ৯১ ও সানজামুল ৬৯ বলে ৪০ রানে অপরাজিত আছেন। খুলনার আফিফ ৫৭ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট। একটি করে উইকেট পেয়েছেন আল-আমিন, রাজ্জাক ও নাহিদুল।

   

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২ অক্টোবর ২০১৮/পরাগ