ক্রীড়া প্রতিবেদক : প্রথম দুদিন একটি বলও মাঠে গড়াল না! ভেজা আউটফিল্ডের কারণে মাঠ খেলার অনুপযুক্ত। আজ বুধবার বরিশালে ৯ বছর পর মাঠে গড়ায় জাতীয় ক্রিকেট লিগ। আর প্রথম দিনই রেকর্ডের পাতায় নাম তুলল বরিশাল বিভাগীয় স্টেডিয়াম। তৃতীয় দিনের খেলায় ১৯ ব্যাটসম্যান সাজঘরে? প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে বোলারদের এমন দাপুটে দিন এর আগে কখনো দেখেনি ক্রিকেটপ্রেমিরা। টস জিতে বরিশাল বিভাগকে আগে ব্যাটিংয়ে পাঠায় রাজশাহী। অসাধারণ বোলিংয়ে বরিশালকে ১৩৩ রানে গুটিয়ে দেয় রাজশাহী। বল হাতে কড়া জবাব দেয় বরিশালও। ১২৫ রান তুলতেই ৯ উইকেট হারিয়েছে রাজশাহী। দিন শেষে তারা পিছিয়ে ৮ রানে। হাতে আছে ১ উইকেট।
১৯ উইকেটের দিনে পেসাররা পেয়েছেন ৮ উইকেট। স্পিনাররা পেয়েছেন ৯ উইকেট। ২টি রান আউট হয়েছে বরিশালের ইনিংসে। বোলারদের দাপটের দিনে ব্যাটসম্যানরা ছিলেন অসহায়। সর্বোচ্চ ৩৮ রান করেছেন বরিশালের মনিরুজ্জামান। তবে ৩০-এর ঘরে রান করেছেন ৪ ব্যাটসম্যান। দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছতে পারেননি ১২ ব্যাটসম্যান! বরিশালের ইনিংস ধস নামান দুই পেসার ফরহাদ রেজা ও মুক্তার আলী। নতুন বলে দুই পেসার নেন ৬ উইকেট। ফরহাদ রেজা ৪টি এবং মুক্তার আলী ২ উইকেট পান। ২ উইকেট নেন তাইজুল ইসলাম। ৪৬ ওভার টেকে তাদের ইনিংস। মধ্যাহ্ন বিরতির পর ১৩৩ রানে শেষ হয় তাদের ইনিংস। মনিরুজ্জামান ৩৮ ও আল-আমিন করেন ৩১ রান।
বোলাররা রাজশাহীকে উড়ন্ত সূচনা এনে দিলেও ব্যাটসম্যানরা হতাশ করেছেন। দায়িত্ব নিয়ে খেলতে পারেননি কেউ। টপ অর্ডারের প্রথম পাঁচ ব্যাটসম্যানদের কেউই ভালো করতে পারেননি। ছয়ে নামা সাব্বির রহমান করেন ৩১ রান। দিন শেষে ৩৫ রানে অপরাজিত থাকেন মুক্তার আলী। তার সঙ্গী আব্দুল গাফ্ফার। দুজনের ব্যাটে অন্তত লিড নেওয়ার স্বপ্ন দেখছে রাজশাহী। রাজশাহীর পেসাররা দাপট দেখালেও বরিশালের স্পিনাররা ছিলেন দুর্দান্ত। পেসার কামরুল ইসলাম রাব্বী নেন ২ উইকেট। সোহাগ গাজী ৩টি এবং ২টি করে উইকেট নেন তানবীর ইসলাম ও মনির হোসেন।
বোলারদের দিনে ব্যাটসম্যানরা ছিলেন অসহায়। শেষ দিনে ব্যাটসম্যানরা জবাব দিতে পারেন কিনা সেটাই দেখার। রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৭ অক্টোবর ২০১৮/ইয়াসিন