মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের বলটা তামিম ইকবাল কি করতে চেয়েছিলেন তা ধারণাও করা যাচ্ছিল না! না খেললেন পুল শট, না করলেন গ্লান্স।
মাহমুদউল্লাহর শর্ট ডেলিভারী চাইলেই যে কোনো প্রান্ত দিয়ে উড়াতে পারতেন। কিন্তু টাইমিংয়ে গড়বড় করে তামিম ক্যাচ তোলেন নীল আকাশে। নিজের বোলিংয়ে ফিল্ডিং করে সহজেই বল তালুবন্দি করেন মাহমুদউল্লাহ। বিরতি দিয়ে ফেরার ইনিংসে তামিম আউট হলেন ৩০ করে। নিজের আউটে হতাশ তামিম দাঁড়িয়ে রইলেন ২২ গজে। সেখান থেকে সাজঘরের ফেরার পথটা তার জন্য যেন শেষই হতে চাচ্ছিল না।
১৩২ মিনিট ক্রিজে থেকে ইনিংসটি সাজিয়েছিলেন। বল খেলেছিলেন ১০৫টি। কিন্তু ইনিংসের শুরু থেকেই অতি সাবধানী দেশসেরা ওপেনার। শহীদুলের বলে দারুণ ফ্লিকে চার মেরে রানের খাতা খুলেছিলেন। মনে হচ্ছিল সেই পুরোনো তামিম ফিরেছেন ব্যাটিংয়ে। কিন্তু ওই শটের পর শুরু হয় তার সতর্ক ব্যাটিং। ব্যাটে বলে টাইমিং হলেও রান তুলতে পারছিলেন না। ড্রাইভ, কভার ড্রাইভগুলো সবগুলো যাচ্ছিল ফিল্ডারদের হাতে। আবার অফষ্ট্যাম্পের বাইরের বলগুলো চার্জও করছিলেন। অতি সাবধানী ব্যাটিং যাকে বলে।
প্রথম বাউন্ডারি থেকে দ্বিতীয় বাউন্ডারি পেতে অপেক্ষা করতে হয় ৪০ বল। পেসার মেহরাব হোসেন জসির পায়ের ওপরের বল লাইনে চালিয়ে লং অন দিয়ে বাউন্ডারিতে পাঠান। ১৬তম ওভারে স্পিন আক্রমণ পান তামিম। মাহমুদউল্লাহ বোলিংয়ে আসলেও সুবিধা করতে পারেননি। তবে আরেক প্রান্তে আরাফাত সানী তাকে ভুগিয়েছেন।
লেগ স্লিপ ও শর্ট লেগে ফিল্ডার রেখে মিডল ও লেগ স্ট্যাম্পে টানা বল করে গেছেন সানী। তামিম বেশিরভাগ বলই লিভ করেছেন। মাঝে একবার স্লগ সুইপে ডিপ মিড উইকেট দিয়ে পাঠান বাউন্ডারিতে। মধ্যাহ্ন বিরতির আগে ২৬ রানে অপরাজিত ছিলেন তামিম।
বিরতির পর মনোযোগ ধরে রাখতে পারেননি। ধৈর্য্য্র পরীক্ষা দেওয়া তামিম ‘অস্থির’ শটে উইকেট উপহার দেন জাতীয় দলের সতীর্থকে। তাতে নিজের ফেরার ইনিংসটি রাঙাতে ব্যর্থ হন। ২০১৫ সালের পর তামিম ফিরলেন ওয়ালটন জাতীয় ক্রিকেট লিগে। ফিরলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও। মিরপুরে ৩ উইকেট নিয়ে মাহমুদউল্লাহ এগিয়ে রেখেছেন ঢাকা মেট্রোকে। তামিম দীর্ঘ সময় ক্রিজে থেকেও বড় ইনিংস খেলতে ব্যর্থ। বৃষ্টির বাগড়ায় ম্যাচ আপাতত বন্ধ। এর আগে টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে চট্টগ্রাম বিভাগ ৩ উইকেট হারিয়ে তুলেছে ১১৪ রান। তামিমের সঙ্গে সাদিকুর ৫১ ও মুমিনুল ১১ রানে সাজঘরে ফিরেছেন। পিনাক ১৪ ও তাসামুল ১ রানে অপরাজিত আছেন।
ঢাকা/ইয়াসিন