জাতীয় ক্রিকেট লিগ ২০১৯-২০

তাইবুর ও হালিমের প্রথম দিন

ওয়ালটন জাতীয় ক্রিকেট লিগের ষষ্ঠ তথা শেষ রাউন্ডে মুখোমুখি হয়েছে ঢাকা বিভাগ ও খুলনা বিভাগ। শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে প্রথম স্তরের এই ম্যাচের প্রথম দিনটি উভয় দলের জন্যেই প্রায় সমান গেছে। তবে বিশেষভাবে বলতে হবে দুই জনের নাম। তাদের একজন ঢাকা বিভাগের তাইবুর রহমান। অন্যজন খুলনা বিভাগের বোলার আব্দুল হালিম।

তাইবুর রহমানের ১১০ রানের ইনিংসে ভর করে ঢাকা বিভাগ ৭ উইকেট হারিয়ে ২৭৩ রান তুলে প্রথম দিন শেষ করেছে। আর খুলনার হয়ে প্রথম দিনেই ৫ উইকেট নিয়েছেন হালিম।

ঢাকা বিভাগকে টানছেন অধিনায়ক শুভাগত হোম চৌধুরী। তিনি ৫৬ রান নিয়ে অপরাজিত আছেন। তার সঙ্গে ৫ রান নিয়ে অপরাজিত আছেন নাজমুল ইসলাম। তারা দুজন আগামীকাল রোববার দ্বিতীয় দিনে ব্যাট করতে নামবেন।

সকালে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই আব্দুল হালিমের বোলিং তোপের মুখে পড়ে ঢাকা বিভাগ। ২ রানের মাথায় দুই বলে তারা হারিয়ে বসে দুই উইকেট। আব্দুল মাজিদ ও শফিউল হায়াতকে সরাসরি বোল্ড করেন হালিম। ৪৭ রানের মাথায় রকিবুল হাসানকে ফেরান জিয়াউর রহমান। ২৪ রান করে ফেরেন তিনি।

এরপর আব্দুল মাজিদ ও তাইবুর রহমান দলের হাল ধরেন। তারা দুজন চতুর্থ উইকেটে ১২৭ রানের জুটি গড়েন। ১৭৬ রানের মাথায় আব্দুল হালিম এই জুটি ভাঙেন। এবার তিনি বোল্ড করেন আব্দুল মাজিদকে। ৬ চারে ৬৬ রান করে আউট হন মাজিদ। এরপর অধিনায়ক শুভাগত হোমকে সঙ্গে নিয়ে ৭৪ রানের জুটি গড়েন তাইবুর। এই জুটিও ভাঙেন হালিম। এবার ফেরান তাইবুরকে। তাকেও বোল্ড করেন তিনি। ১৮৯ বল খেলে ৭ চার ও ৩ ছক্কায় ১১০ রান করে ফেরেন তাইবুর।

এরপর দলীয় ২৫২ ও ২৫৯ রানে ডাক মেরে ফেরেন আরাফাত সানী ও মাহবুবুল আলম। সানীকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন হালিম। এই উইকেট শিকারের মধ্য দিয়ে পাঁচ উইকেটের কোটা পূর্ণ করেন তিনি। মাহবুবুলকে ফিরিয়ে নিজের ২০০ উইকেটের কোটা পূর্ণ করেন জিয়া।

এরপর শুভাগত ও নাজমুল মিলে দিনের বাকি সময়টুকু পার করেন।

 

ঢাকা/আমিনুল