ওয়ালটন জাতীয় ক্রিকেট লিগের ষষ্ঠ রাউন্ডে মুখোমুখি হয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগ ও সিলেট বিভাগ। বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় স্তরের এই ম্যাচে বল হাতে আগুন ঝরিয়েছেন সিলেট বিভাগের তরুণ পেসার রুয়েল মিয়া। তার ৮ উইকেট শিকারের দিনে ৩৫.১ ওভারে চট্টগ্রাম বিভাগ অলআউট হয়েছে মাত্র ১০৬ রানে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে সিলেট বিভাগও হারিয়েছে ৫টি উইকেট। ৪৮ ওভার খেলে তারা তুলেছে ১৮৬ রান। তাতে ৮০ রানের লিড নিয়ে প্রথম দিন শেষ করেছে সিলেট। ক্রিজে আছেন আসাদুল্লাহ গালিব (২৮) ও রাহাতুল ফেরদৌস (৮)। আগামীকাল রোববার সকালে দ্বিতীয় দিনে তারা দুজন ব্যাট করতে নামবেন।
সকালে টস জিতে চট্টগ্রাম বিভাগকে ব্যাট করতে আমন্ত্রণ জানান সিলেটের অধিনায়ক অলক কাপালি। তার সিদ্ধান্তকে সঠিক প্রমাণ করেন রুয়েল মিয়া। ৫ উইকেট হারিয়ে ৭২ রান তুলে মধ্যাহ্ন বিরতিতে যায় চট্টগ্রাম। তার চারটিই নেন রুয়েল। বিরতির পর ফিরে এসে ১২টা ৫৫ মিনিটের মধ্যে অলআউট হয়ে যায় তারা। রুয়েল মিয়া বিরতির পর নেন আরো চারটি উইকেট। তাকে তার পকেটেই যায় ৮টি উইকেট।
তার শিকারে পরিণত করেন পিনাক ঘোষ, আলভি হক, তাসামুল হক, সাজ্জাদুল হক, মাসুম খান, ইফরান হোসেন, শাখাওয়াত হোসেন ও রনি চৌধুরীকে। তার তাণ্ডবের দিনে ব্যাট হাতে চট্টগ্রামের কেউ ২১ রানের বেশি করতে পারেনি। তাসামুল হক ও ইরফান শুক্কুর ২১টি করে রান করেন। সাজ্জাদুল ১৪, শাখাওয়াত ১১ ও নোমান চৌধুরী অপরাজিত ১০ রান করেন। বাকিদের রান ছিল ০, ৪, ৭, ২, ৪, ০।
রুয়েল মিয়ার বাইরে ইমরান আলী ১টি ও রেজাউর রহমান ১টি উইকেট নেন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে সিলেট বিভাগও খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি। তারাও নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে শুরু করে। ১৬৯ রান তুলতেই হারিয়ে বসে ৫ উইকেট। তবে আমিত হাসানের ৫৫, অলক কাপালির ৪১, সানাজ আহমেদের ২১ ও আসাদুল্লাহ গালিবের অপরাজিত ২৮ রানে ভর করে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৮৬ রান তুলে প্রথম দিন শেষ করে তারা।
বল হাতে চট্টগ্রামের ইফরান হোসেন একাই ৪টি উইকেট নিয়েছেন। অপর উইকেটটি নিয়েছেন সাজ্জাদুল হক।
ঢাকা/আমিনুল