আমিনুল ইসলাম : ক্রিকেটের শুরুর দিকটার কথা। তখন রান করা এতটা সহজ ছিল না। রান করতে ব্যাটসম্যানদের বেশ কাঠখড় পোড়াতে হত। সময়ের পরিক্রমায় ওয়ানডে ক্রিকেটের প্রচলন হয়। হয়ে ওঠে জনপ্রিয়।
এরপর ক্রিকেটের সবচেয়ে ছোট কিন্তু ব্যাপক জনপ্রিয় ফরম্যাট টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের প্রচলন হয়। চার-ছক্কার খই ফোটে স্টেডিয়ামে। রানের বন্যা বয়। রেকর্ডের পর রেকর্ড হয়। বোলারদের পিটিয়ে তুলোধুনো করেন ব্যাটসম্যানরা।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের এই প্রভাব এখন ওয়ানডে ও টেস্ট ক্রিকেটেও পড়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পরেছে ওয়ানডেতে। তাই বর্তমানে টি-টোয়েন্টির মতো ওয়ানডেতেও রানের ফল্গুধারা বয়ে যায়। গেল বিশ্বকাপে যার প্রমাণ দেখেছে ক্রিকেট বিশ্ব। একাদশ বিশ্বকাপের অধিকাংশ ম্যাচে তিন শতাধিক রান হয়েছে। দুটি ম্যাচে চার শতাধিক রানেরও ইনিংস দেখেছে ক্রিকেটপ্রেমীরা। হয়েছে অনেকগুলো সেঞ্চুরি। তার মধ্যে রয়েছে সবচেয়ে কম বলে সেঞ্চুরির রেকর্ডও।
ক্রিকেট ইতিহাসে ৪০ বলের নিচে খেলে দ্রুততম সেঞ্চুরি করেছিলেন পাকিস্তানের তারকা অলরাউন্ডার শহিদ খান আফ্রিদি। ১৯৯৬ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মাত্র ৩৭ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি। ২০১৪ সালে তার সেই রেকর্ড ভেঙে দেন নিউজিল্যান্ডের কোরি অ্যান্ডারসন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে করেন ৩৬ বলে সেঞ্চুরি। তার রেকর্ডটিও এক বছরের বেশি স্থায়ী হয়নি।
গেল বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে মাত্র ৩১ বলে সেঞ্চুরি করেন দক্ষিণ আফ্রিকার এবি ডি ভিলিয়ার্স। এখন পর্যন্ত ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসে এটাই সবচেয়ে দ্রুততম সেঞ্চুরি। ডি ভিলিয়ার্স, অ্যান্ডারসন ও আফ্রিদি হলেন ওয়ানডে ক্রিকেটের তিন দ্রুততম সেঞ্চুরিয়ান। চলুন দেখে নেওয়া যাক ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসে দ্রুততম ১০টি সেঞ্চুরি।
নাম বল রান ৪/৬ প্রতিপক্ষএবি ডি ভিলিয়ার্স (দ. আফ্রিকা) ৩১ ১৪৯ ৯/১৬ ও.ইন্ডিজকোরি অ্যান্ডারসন (নিউজিল্যান্ড) ৩৬ ১৩১* ৬/১৪ ও.ইন্ডিজশহিদ আফ্রিদি (পাকিস্তান) ৩৭ ১০২ ৬/১১ শ্রীলঙ্কামার্ক বাউচার (দ. আফ্রিকা) ৪৪ ১৪৭* ৮/১০ জিম্বাবুয়েব্রায়ান লারা (ও.ইন্ডিজ) ৪৫ ১১৭ ৪/১৮ বাংলাদেশশহিদ আফ্রিদি (পাকিস্তান) ৪৫ ১০২ ১০/৯ ভারতজেসি রাইডার (নিউজিল্যান্ড) ৪৬ ১০৪ ১২/৫ ও.ইন্ডিজসনাৎ জয়সুরিয়া (শ্রীলঙ্কা) ৪৮ ১৩৪ ১১/১১ পাকিস্তানকেভিন ও’ব্রায়েন (আয়ারল্যান্ড) ৫০ ১১৩ ১৩/৬ ইংল্যান্ডগ্লেন ম্যাক্সওয়েল (অস্ট্রেলিয়া) ৫১ ১০২ ১০/৪ শ্রীলঙ্কা
রাইজিংবিডি/ঢাকা/৫ জুন ২০১৫/আমিনুল/সাইফুল