মনি হায়দার : বাংলা কথাসাহিত্যে ‘অপরাজেয় কথাশিল্পী’ শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। শরৎচন্দ্র পাঠ করেন নি এমন শিক্ষিত বা মোটামুটি লেখাপড়া জানা বাঙালি পাওয়া দুষ্কর। ব্যাপারটা আরও একটু পরিষ্কার করে লেখা যেতে পারে, পৃথিবীর যে কোনো বাংলাভাষীর সঙ্গে শরৎচন্দ্রের পরিচয় হয়েছে; না হয়ে উপায় নেই। এতো গল্প, এতো উপন্যাস আর এতো আশ্চর্য চরিত্র তিনি তৈরি করেছেন- সেইসব চরিত্র বা আখ্যান পাঠ না করে এড়িয়ে যাওয়া প্রায় অসম্ভব, যে কোনো বাঙালির পক্ষে। খুব ছোটবেলায়,আজ থেকে প্রায় চল্লিশ বছর আগে আমার পঞ্চম শ্রেণী পড়ুয়া মায়ের কাছে প্রথম দেখি একটি গল্প, ‘পণ্ডিত মশাই’। লেখক: শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। আরও পরে দেখেছিলাম মায়ের কাছে ‘মেজদিদি’ উপন্যাসটি। সে সময় পাঠ করেছিলাম কি না, মনে নেই। দুপুরে খাবার পর বাড়ির ও আশপাশের মহিলারা আসতেন মায়ের কাছে। মা তাদের পণ্ডিত মশাই, মেজদিদি পড়ে শোনাতেন। সেই শৈশবে দেখেছি, শরৎচন্দ্র গ্রামীণ নর-নারীর কাছে কীভাবে পৌঁছে গিয়েছিলেন।
বড় হয়ে স্কুল পাঠ্যে প্রথম পড়ি তাঁর দুটি গল্প। একটি কুকুরকে চরিত্র করে লেখা ‘অতিথি’, আর একটি ‘নতুনদা’। আরও বড় ক্লাসে পাঠ করি ‘মহেশ’। ‘মহেশ’ আমার বিবেচনায় পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ একটি গল্প। শরৎচন্দ্র যেমন আমার পঞ্চম শ্রেণী পড়ুয়া মা পাঠ করেছেন, তেমনি বাবাও করেছেন। পড়েছেন বড় ভাইও। লেখক সব বয়সের মানুষের কাছে পৌঁছে গিয়েছিলেন নিজস্ব মহিমায়।
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ১৮৭৬ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর হুগলি জেলার দেবানন্দপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর মায়ের নাম ভুবনমোহিনী দেবী। পিতার নাম, মতিলাল চট্টোপাধ্যায়। তা্ঁর জীবন বিচিত্র পথে গেছে। এনট্রাস পাশ করে এফ. এ. ক্লাসে ভর্তি হয়েছিলেন কিন্তু শেষ করেনি নি। জীবনে বেঁচে থাকার জন্য নানাবিধ কাজ করতে হয়েছে তাঁকে। কখনো কেরানি, কখনো হিসাবরক্ষক, ধানের ব্যবসার ব্যবস্থাপক, হোমিও প্যাথিক চিকিৎসক, কখনো জমিদার বাড়ির গাইয়ে-বাজিয়ে। অনেক সময় অদ্ভুতসব পরিবেশে তাঁকে থাকতে হয়েছে। যেমন কখনো নিরুদ্দেশ, কখনো ভবঘুরে, কখনো সন্ন্যাসীর দলে, কখনো ডক শ্রমিকদের হৈ হল্লায়, এমনকি পতিতালয়ের পরিবেশেও! বিচিত্র বর্নাঢ্য এক জীবনের অধিকারী ছিলেন তিনি।
তাঁর একশ ঊনচল্লিশতম জন্মদিনের সামনে দাঁড়িয়ে ‘শ্রীকান্ত’ উপন্যাস সম্পর্কে আমার পাঠ প্রতিক্রিয়া ও অনুভবের ধ্যান লিখে সামান্য সম্মান নিবেদন করতে চাই। কারণ, ‘শ্রীকান্ত’ উপন্যাসের চরিত্রের ভেতর দিয়ে একজন বাঙালির বিশ্ববীক্ষণ করার দুর্লভ সুযোগ করে দিয়েছেন তিনি। আরও বড় হয়ে, লেখার জগতে প্রবেশ করে, কবে পাঠ করেছিলাম শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘শ্রীকান্ত’ উপন্যাস, আজ আর মনে করতে পারি না। কিন্তু এটা মনে পড়ে, উপন্যাসটি একশ বছর আগের বাঙালি জীবনযাত্রার আশ্চর্য এক দলিল। আমার মনে হয়, পৃথিবীর কনটেস্টে শ্রীকান্ত অসাধারণ, অনবদ্য এবং মহান মানবিক এক উপন্যাস। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে ভাষাটা বাংলা। যদিও আমরা জানি, বাংলা পৃথিবীর সপ্তম বৃহত্তম ভাষা কিন্তু ইংরেজির সামনে বড় অসহায়। শরৎচন্দ্র যদি ইংরেজিভাষী কোনো লেখক হতেন আমরা এই উপন্যাস পাঠ করতাম আর তাঁর বন্দনায় মেতে থাকতাম। এখন আমাদের দেশের কিছু লেখক পাঠক ল্যাটিন আমেরিকায় বুঁদ হয়ে আছেন। তাদের কাণ্ড দেখলে মনে হয়, ল্যাটিন সাহিত্য ছাড়া দুনিয়ায় আর কোনো সাহিত্য নেই। এ সবই আমাদের মানসিক দারিদ্র্যের ভয়ংকর প্রকাশ।
শ্রীকান্ত উপন্যাসের একটি সংলাপ-‘মরার আবার জাত কি!’ এই সহজ সরল বাক্যটি মানব গোষ্ঠীর পরম আকর। ‘শ্রীকান্ত’ উপন্যাস প্রথম খণ্ড প্রকাশিত হয়েছিল ১৯১৭ সালে। দ্বিতীয় খণ্ড প্রকাশিত হয়েছিল ১৯১৮ সালে, তৃতীয় খণ্ড প্রকাশিত হয়েছিল একটু দেরীতে ১৯২৭ সালে এবং চতুর্থ বা শেষ খণ্ড প্রকাশিত হয়েছিল ১৯৩৩ সালে। আজকের সময়ের দিকে তাকিয়ে প্রায় একশ বছর আগে বিশাল আকারের উপন্যাস লিখেছিলেন শরৎচন্দ্র। সেই কালে সনাতন ধর্মের ভেতরে জাত-পাতের যে বিষাক্ত বিস্তার ছিল, সেই অন্ধকার কালে একটি উপন্যাসের চরিত্রের মুখ দিয়ে এমন সরল কিন্তু চিরকালের একটি মানবিক বাক্য প্রকাশ করাও ছিল দুঃসাহসের পরিচায়ক।
চারটি খণ্ডে প্রকাশিত এই উপন্যাসে অনেক চরিত্র,উপ-চরিত্র,আখ্যান,উপ-আখ্যান তিনি তৈরি করেছেন।এর মধ্যে ইন্দ্র,পিয়ারী বা রাজলক্ষ্মী,অভয়া,গহর,কুমার সাহেব,টগর,রতন,বঙ্কু, কমললতা, ব্রজানন্দ,পুঁটি,নবীন,নন্দ মিস্ত্রি গোটা উপন্যাসে ধানখেতের আইলে আইলে একে অপরের সঙ্গে জড়িয়ে আছে। প্রতিটি চরিত্র বাঙালি পাঠককে প্রবলভাবে আকৃষ্ট করেছে, এখনও সমানভাবে করছে। ভবিষ্যতেও করবে। একটা উপন্যাস, উপন্যাসের চরিত্র, আখ্যান একশ বছর পরেও পাঠককে আকর্ষণ করে, ধরে রাখে- ঔপন্যাসিকের সৃজন ক্ষমতা কতো প্রবল হলে এটা সম্ভব!
বাংলা সাহিত্যে শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ই প্রথম নারীর মূল্য দিয়েছেন। নারীও যে মানুষ এবং রক্তমাংসের তিনিই চরিত্রের মধ্যে দিয়ে প্রতিষ্ঠা করেছেন। তাঁর তৈরী নারী চরিত্র হয়তো যুদ্ধ করেনি, হয়তো রাজনীতি করেনি কিন্তু সংসার জীবনের পরাকাষ্ঠায় তিনি নারীর ভেতরের ও বাইরের রূপ এবং রূপান্তর দারুণ মমতায়,মানবিক বোধে লালন করেছেন। একই সঙ্গে, মানুষ বা নারী কতো ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে, তারই উপমেয় বর্ণনা লিখেছেন তিনি শ্রীকান্ত দ্বিতীয় খণ্ডের শুরুতে রাজলক্ষ্মীকে বিশ্লেষণ করতে গিয়ে। তিনি লিখেছেন: ‘পিয়ারী ঘাড় নাড়িয়া বলিল, সে আমি জানি। কিন্তু নেবে আমাকে সঙ্গে? বলিয়াই আমার পায়ের উপর ধীরে ধীরে আবার হাতখানা রাখিল। একদিন এই পিয়ারীই আমাকে যখন তাহার বাড়ি হইতে এক রকম জোর করিয়াই বিদায় করিয়াছিল, সেদিন তাহার অসাধারণ ধৈর্য ও মনের জোর দেখিয়া অবাক হইয়া গিয়াছিলাম। আজ তাহারই আবার এতবড় দুর্বলতা, এই করুণ কণ্ঠের মিনতি, সমস্ত এক সঙ্গে মনে করিয়া আমার বুক ফুটিতে লাগিল, কিন্তু কিছুতেই স্বীকার করিতে পারিলাম না।
বলিলাম, তোমাকে সঙ্গে নিতে পারিনে বটে কিন্তু যখনি ডাকবে, তখনি ফিরে আসব। যেখানেই থাকি, চিরদিন আমি তোমরই থাকবো রাজলক্ষ্মী। ’
নারী চরিত্র চিরকাল বৈচিত্র্যময়। এই উদার আকাশ তো আবার রৌদ্রদগ্ধ মাঠ। নারীদের মন আছে, মনে প্রেম আছে, শরীরে আকাঙ্ক্ষা আছে- এ কথা প্রথম শরৎসাহিত্যেই প্রকাশ পয়। সেই প্রকাশের পথ ধরে এক সময় বাইজী পিয়ারীও কতো বিচিত্র বিভায়, ভালোবাসায়, অভিমানে, আদরে, মমতায় অসাধারণ হয়ে ওঠে পাঠকের কাছে। পিয়ারী বা রাজলক্ষ্মীকে মনে হয় আমাদের শ্বাশতকালের পরম স্নেহময় নারী- কখনো মা, কখনো প্রেমিকা, কখনো সেবিকা, কখনো আপন ধর্মে নিষ্ঠাবান একজন গৃহিণী। একজন নারীর ভেতরে অনেককে দেখার ও আবিষ্কার করার অবাক ক্ষমতা দেখে পাঠক হিসেবে, এই আধুনিককালেও অবাক না হয়ে পারি না।
‘অভয়া’ এই উপন্যাসে আরেকটি বিস্ময়কর নারী চরিত্র। প্রায় শূন্য হাতে রেঙ্গুনে এসেছে, হারানো বা হারিয়ে যাওয়া স্বামীকে ফিরে পাবার বা উদ্ধারের আশায়। সঙ্গে একজন পুরুষ রোহিনী। রোহিনী অসম্ভব পছন্দ করে অভয়াকে। এই পছন্দের রশিটুকু ধারণ করে অভয়া রেঙ্গুনে। দুজনে থাকছে একই বাসায় কিন্তু ব্যবধান দুস্তর। রোহিনী হাড় ভাঙ্গা পরিশ্রম করে টাকা রোজগার করে অভয়াকে পাওয়ার আশায়। কিন্তু অভয়া? কঠিন শিলায় গড়া এক নারী- নিজেকে রেখেছে শামুকের মতো গুটিয়ে। খুঁজে ফিরছে স্বামীকে। এই যে মানব মানবীর পরস্পর কামনা বাসনার হিম চরিত্র, দিন যাপন, রাত পার- ভয়ানক জটিল মায়ামন্ত্রকে কীভাবে ব্যাখ্যা করা যায়? আর মানব চরিত্রের সব কিছুই কে বা কবে ব্যাখ্যা করতে পেরেছে?
নারী পুরুষের সর্ম্পক কতো বিচিত্র এবং পরিহাসপ্রিয় হতে পারে, অভয়া, রোহিনী এবং অভয়ার স্বামী’র মধ্যে সর্ম্পকের পাঠ না করা পর্যন্ত বোঝা কঠিন। শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় মানুষের ভেতরের বুভুক্ষ নীচুতাকে খুব যত্ন করে দেখতে পারতেন। না পারলে অভয়ার স্বামীর মতো এমন একটি চরিত্র আঁকতে পারতেন না। অভয়াকে তার স্বামীর কাছে পাঠিয়ে দেয়ার পর রোহিনীর কী হয়েছিল, সেটাও আঁকতে ভুল করেননি শরৎচন্দ্র। শ্রীকান্ত গেলেন রোহিনীকে দেখতে। কিন্তু গিয়ে কী দেখলেন?
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় লিখেছেন: ‘সেটা মাহ ভাদরও নয়, ভরা বাদরও নয়,কিন্তু শূন্য মন্দিরের চেহারা যদি কিছু থাকে ত সেই আলো-অন্ধকারের মাঝখানে সেদিন যাহা চোখে পড়িল, সে যে এ ছাড়া আর কি, সে ত আজও জানি না। সব কয়টা ঘরেরই দরজা হা হা করিতেছে, শুধু রান্নাঘরের একটা জানালা দিয়া ধুয়া বাহির হইতেছে। ডান দিকে একটু আগাইয়া গিয়া উঁকি মারিয়া দেখিলাম, উনুন জ্বলিয়া প্রায় নিবিয়া আসিয়াছে এবং অদূরে মেঝের উপর রোহিনী বঁটি পাতিয়া একটা বেগুন দু খানা করিয়া চুপ করিয়া বসিয়া আছে। আমার পদশব্দ তাহার কানে যায় নাই, কারণ কর্ণেন্দ্রিয়ের মালিক যিনি, তিনি তখন আর যেখানেই থাকুন, বেগুনের উপরে যে একাগ্র হইয়া ছিলেন না, তাহা নিঃসংশয়ে বলিতে পারি। আরও একটা কথা এমনি নিঃসংশয়ে বলিতে পারি। কিন্ত নিঃশব্দে ফিরিয়া গিয়া একে একে সেই ঘর দুটার মধ্যে যখন দাঁড়াইলাম, তখন চোখের উপর স্পষ্ট দেখিতে পাইলাম- সমস্ত সমাজ, সমস্ত ধর্মাধর্ম, সমস্ত পাপ পূণ্যের অতীত একটা উৎকট বেদনাবিদ্ধ রোদন সমস্ত ঘর ভরিয়া যেন দাঁতে দাঁত চাপিয়া স্থির হইয়া আছে।’
অভয়াকে ভালোবেসে সব ত্যাগ করে রোহিনী রেঙ্গুনে এসেছিল, অভয়াকে একান্ত করে পাবার আশায়। কিন্তু অভয়া? সে সনাতন ধর্মের নারী। জন্ম থেকে জেনে ও দেখে আসছে, নারীর স্বামী ভিন্ন কোনো গতি নেই। প্রেম শরীরের সম্পর্ক স্বামী ছাড়া,ভীষণ ভয়ানক ঘটনা। রেঙ্গুনে এসে রোহিনী চাকরি করেছে, সন্ধ্যার পর টিউশুনি করেছে, কেবলমাত্র অভয়াকে জয় করার জন্য। সেই অভয়া যখন স্বামীর সন্ধান পেয়ে স্বামীর ঘরে চলে যায়,তখন রোহিনী কী করতে পারে? তার তো বাঁধা দেওয়ার অধিকার নেই। হৃদয়ে কেবল ব্যথা জেগে ওঠে বুকের পাঁজরে। শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় সেই দুঃখ, অপার ব্যথা আর হাহাকার এভাবে বর্ণনা করেছেন।
আবার অন্যদিকে স্বামীর ঘরে গিয়েও অভয়া যে পাশবিক অর্ভ্যথনা পেয়েছে সেটাও মানব চরিত্রের কদাকার দিক। মানুষ চিরকাল অভেদ্য ও দুর্বোধ্য প্রাণী। নিজের স্বার্থের জন্য মানুষ পারে না, এমন কাজ আর নেই। অভয়ার স্বামী মানুষ নয়,পামর। কিন্তু পামর স্বামীর বাসায় গিয়েও অভয়া চিঠি লিখেছে শ্রীকান্তকে,কার জন্য? না, তার নিজের জন্য নয়। লিখেছে রোহিনীর জন্য।
শ্রীকান্ত বলছে, ‘খুলিয়া দেখিলাম, আগাগোড়া লেখা রোহিণীর কথাতেই ভরা। যেন সবর্দাই তাহার প্রতি নজর রাখি- সে যে কতবড় দুঃখী, কত দুর্বল, কত অপটু, কত অসহায় এই একটা কথাই ছত্রে ছত্রে অক্ষরে অক্ষরে এমনি মর্মান্তিক ব্যথায় ফাটিয়া পড়িয়াছে যে, অতি বড় সরলচিত্ত লোকও এই আবেদনের তাৎপর্য বুঝিতে ভুল করিবে মনে হইল না।’
নারী ও পুরুষের পরস্পর সংযুক্তি, আবার পরস্পরবিরোধী সর্ম্পক ‘শ্রীকান্ত’ উপন্যাসকে দিয়েছে জটিল মার্যাদা, বিশেষ আবেগ আর চিরকালীন আভিজাত্য। উপন্যাসটি সর্ম্পকে এতো কম পরিসরে বিস্তারিত লেখার সুযোগ নেই। শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের আজ জন্মদিন। সে উপলক্ষ্যে শুধু এ টুকু বলার যে, তিনি বাংলা সাহিত্যের অন্যতম সফল শ্রেষ্ঠ ঔপন্যাসিক, কথাশিল্পী। যতদিন বাংলা ভাষা থাকবে,ততদিন তিনিও থাকবেন আমাদের সঙ্গে তাঁর সৃজিত গল্প উপন্যাস ও চরিত্রের মধ্যে।
রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৫/তাপস রায়