চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি : জীবননগর উপজেলার গঙ্গাদাসপুরে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের বোমা হামলা ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত আরো দুই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। তারা হলেন একই গ্রামের শাহাবুদ্দীন (৬৫) ও তার স্ত্রী মালেকা খাতুন (৫৮)। শাহাবুদ্দীন সোমবার রাত ১০টার দিকে এবং তার স্ত্রী মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৭টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় যশোর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মারা যান। এর আগে একই ঘটনায় গঙ্গাদাসপুর গ্রামের বাসিন্দা এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগের কর্মী মোহাম্মদ আলী (৫০) ঘটনার দিন মারা যান। এ নিয়ে এ ঘটনায় এক নারীসহ তিনজনের মৃত্যু হলো।
হামলার ঘটনায় গুরুতর আহত আব্দুল মোমিন (৩৮) যশোর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। একই ঘটনায় আহত আব্দুল গফুর (৫৫), আয়ুব আলী (৫২), আমীর হোসেন (৩৮) ও সুরাতন নেছাকে (৬২) জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনার পর পালানোর সময় উত্তেজিত গ্রামবাসী রেজাউল গোলদার এবং মনিরুলের স্ত্রী ইসমত আরাকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করেছে।
নিহত শাহাবুদ্দীনের ছেলে রিপন হোসেন জানান, সোমবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে তার বাবা গঙ্গাদাসপুর পূর্বপাড়ার মসজিদের পাশে নিজের মুদি দোকানে বসে ছিলেন। এ সময় ৩০/৩৫ জন দুর্বৃত্ত দোকান লক্ষ্য করে পরপর সাতটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। এরপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে (হাসুয়া ও ফলা) দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে।
এতে দোকানে অবস্থানকারী মোহাম্মদ আলী ঘটনাস্থলেই মারা যান। বোমা বিস্ফোরণে শাহাবুদ্দীনের ডান পা ও মোমিনের বাঁ হাত উড়ে যায়। মালেকা বেগমেরও পেট ও পিঠে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়।
খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গার সহকারী পুলিশ সুপার ছুফিউল্লাহ রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। মঙ্গলবার সকাল থেকে বিরোধপূর্ণ এলাকা গঙ্গাদাসপুরে বসানো হয়েছে অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প।
জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবীর জানান, জমিজমা নিয়ে পূর্ববিরোধের জেরে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। নিহত মোহাম্মদ আলীর লাশ চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। শাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রীর লাশের ময়নাতদন্ত যশোর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সম্পন্ন হবে। এ ব্যাপারে এখনো পর্যন্ত কেউ মামলা করেনি বলে জানিয়েছেন ওসি।
রাইজিংবিডি/চুয়াডাঙ্গা/৫ জানুয়ারি ২০১৬/এম এ মামুন/দিলারা/এএন