মৃন্ময়ী হাসান : পরিপাটি আবাস পছন্দ আপনার। কিন্তু ব্যস্ত দিনে হয়তো ঘর গোছনোর জন্য হাতে সময় মিলেনা তেমন। তাই ঝটপট ঘর গোছাতে মনে রাখতে হবে বেশকিছু বিষয়।
জামাকাপড় যেখানে-সেখানে ফেলে না রেখে ওয়ারড্রবে ঢুকিয়ে রাখুন। ভাঁজ করে রাখবেন। ব্যবহারের পর যেখানকার জিনিস সেখানেই রেখে দিন। যেমন- বই পড়া হয়ে গেলে বুক শেলফে সাজিয়ে রাখুন, রান্না হয়ে গেলে মশলাগুলো ক্যাবিনেটে রেখে দিন। ডাস্টিং, ওয়াশিংয়ের মতো কাজগুলো নিয়মিত করুন। প্রতিটি ঘরে ছোট একটি ডাস্টবিন রাখুন। বাথরুমে রাখুন ওয়াল হ্যাঙ্গার। এর মধ্যে সব দরকারি জিনিস ভরে রাখুন। রান্না ঘরেও ব্যবহার করুন ড্রয়ার। এতে মশলার কৌটা, বাসনপত্র রাখুন। আর এ কাজগুলো নিয়মিত করলে দেখবেন আপনার ঘর সব সময়ই গোছানো লাগছে।
বাইরে থেকে এসেই আমরা জুতা এমনি ফেলে রাখি, এটা ভালো অভ্যাস নয়। উচিত হলো, বাইরে থেকে এসেই জুতা র্যাকে ঢুকিয়ে রাখা। র্যাকে রাখার আগে জুতায় লেগে থাকা ধুলাবালি বা পানি লেগে থাকলে তা নরম কাপড় দিয়ে পরিষ্কার করে নিন। এতে জুতা যেমন সুন্দর থাকবে, তেমনি জুতা টিকবেও বেশিদিন।
বাড়িতে যার যে জিনিসটার প্রয়োজন, সে সেই জিনিসটা হাতের কাছে রাখুন। নিজের ব্যবহার করা জিনিস অন্যের হাতের কাছে না রাখাই ভালো। এতে করে সবাই সবার ঘর গোছাতে সহায়ক হবে।
নিজে একা একা ঘর না গুছিয়ে বাড়ির অন্য সদস্যদেরও সঙ্গে নিন। প্রয়োজনে তাদেরও ঘর গোছানোর পরামর্শ দিন। এতে কীভাবে ঘর গোছাতে হয়, সে বিষয়ে বাড়ির অন্য সদস্যদেরও অভ্যাস তৈরি হবে।
আপনার বাসায় যদি ছোট ছেলে-মেয়ে থাকে তাদের ডেকে নিন, এবার এই জুনিয়র যোদ্ধাদের আপনার কাজে সাহায্যের আহ্বান জানান। ছোটখাটো কাজগুলো তাদের ওপর ছেড়ে দিন। যেমন বই গোছানো, নিজেদের কাপড় গোছানো ও বাচ্চাদের শোবার ঘর গোছানো। দেখবেন ওরা খুশি মনে আপনাকে সাহায্য করবে। আপনি রান্না ঘরে ঢুকে যান, জমে থাকা থালাবাসনগুলো দ্রুত ধুয়ে ফেলুন। ধোয়া শেষে গুছিয়ে রেখে দিন। এবার রান্না ঘরের মেঝেটা পরিষ্কার করে ফেলুন।
ঝটপট ঘর বসার ঘরটা গোছাতে সোফার কুশনগুলো সাজিয়ে ফেলুন সঙ্গে কুশন কভারগুলো বদলে দিতে পারেন। আপনার নিজের বেডরুমটিও চট করে গুছিয়ে ফেলুন। বিছানায় নতুন চাদর লাগান, বালিশের কভারগুলো বদলে দিন।
সবশেষে বাথরুমটির দিকে নজর দিন। বেশি করে পানি দিয়ে বাথরুম ধুয়ে নিন, ক্লিনার দিয়ে পুনরায় ধুয়ে নিন। ময়লা টাওয়েল বদলে দিন আর বেসিনটিও পরিষ্কার করুন। টুকরো টুকরো এইরকম পরিষ্কার দেখবেন আপনার পুরো বাসা পরিষ্কার করতে, গোছাতে কত বড় ভূমিকা পালন করে।
ঘর পরিষ্কার করা শেষে এয়ারফ্রেশনার স্প্রে করে দিন, ফুলদানীর আগের ফুলগুলো ফেলে নতুন ফুল রেখে দিন। ফুরফুরে মন নিয়ে এবার তাহলে উপভোগ করুন ফ্যামিলি টাইম। পরিপাটি ঘর আপনাকে সারাক্ষণ যেমন প্রফুল্ল রাখবে তেমনি অতিথি আপ্যায়নেও মন জুড়াবে অতিথির।
রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৯ জানুয়ারি ২০১৬/ফিরোজ