অন্য দুনিয়া

১১ ঘন্টা পর উদ্ধার পিএস মাহসুদ

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল : কুয়াশার কারণে কীর্তনখোলা নদীর চড়ে আটকে যাওয়া পিএস মাহসুদ ১১ ঘণ্টা পর উদ্ধার করা হলো। তবে মোড়েলগঞ্জের যাত্রা বাতিল করে বরিশালেই রাখা হয়েছে স্টিমারটি।

 

আজ রোববার বিকেলে ৫টা ১৫ মিনিটে স্টিমারটি উদ্ধার করা হয়। এর আগে ভোর ৬টায় বরিশালের কীর্তনখোলার চরকাউয়ার চরে আটকে যায় পিএস মাহসুদ।

 

জাহাজের মাস্টার মো. ইদ্রিস হাওলাদার সিরাজি জানান, ভোর ৬টার দিকে জাহাজটি কুয়াশার কারণে দিক হারিয়ে কীর্তনখোলা নদীর চরকাউয়ায় চড়ায় আটকে যায়। এরপর তারা সেটিকে নামানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। পড়ে ভাটা লেগে গেলে জোয়ারের অপেক্ষায় থাকেন তারা। বেলা ২টার দিকে জোয়ারের কারণে পানি বেড়ে গেলে তার জাহাজটি তার নিজস্ব শক্তিতে নামানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হন।

 

তিনি জানান, বিষয়টি তারা উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানালে বিআইডব্লিউটির একটি টাকবোট ঘটনাস্থলে যায়। পরে বিকেল ৫টা ১৫ মিনিটে জাহাজটি উদ্ধার করে।

 

বরিশাল বিআইডব্লিউটিসির সহ-মহাব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) সৈয়দ আবুল কালাম আজাদ জানান, বিআইডব্লিটিএ’র উদ্ধারকারী টাগ নৌযান ‘দুর্বার’ দিয়ে টেনে সোয়া ৫টায় নদীতে নামানো হয়েছে। যান্ত্রিক কোনো ত্রুটি হয়নি। তবুও পিএস মাসুদ মোড়েলগঞ্জের উদ্দেশে ছেড়ে যায়নি। ঢাকার নির্দেশে বরিশালে ঘাটে এনে রাখা হয়েছে।

 

শিডিউল অনুযায়ী আগামীকাল সোমবার সেখান থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাবে।

 

উল্লেখ্য, ঢাকা থেকে মোড়েলগঞ্জের উদ্দেশ্যে ১৮০ জন যাত্রী নিয়ে শনিবার সন্ধ্যায় রওনা দেয় স্টিমারটি। আটকে পড়ার পর সকালে বরিশালের যাত্রীরা জাহাজ ত্যাগ করেন। পরবর্তীতে হুলারহাট ও মোড়লগঞ্জগামী ৭৩ জন যাত্রী স্টিমারে অপেক্ষা করছিলেন। পরবর্তীতে তারা দুপুরে নিজস্ব ব্যবস্থায় গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা দেন।

   

রাইজিংবিডি/বরিশাল/৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬/জে. খান স্বপন/রিশিত